লোকসভায় বুধবার পেশ করা হল ২০১৩-’১৪ অর্থবর্ষের অর্থনৈতিক সমীক্ষা। ভারতীয় অর্থনীতি কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এবং আগামী দিনগুলিতে কোন পথে তা চলতে পারে, তার আভাস রয়েছে এই সমীক্ষায়।
২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৫.৪-৫.৯ শতাংশ। ২০১৩-’১৪ অর্থবর্ষে এই হার দাঁড়িয়েছে ৪.৭ শতাংশে। গত পঁচিশ বছরে এই প্রথম ভারতে পর পর দু’বছর আর্থিক বৃদ্ধির হার পাঁচ শতাংশের কম হল।
গত অর্থবর্ষে ভারতে পরিষেবা ক্ষেত্রটি নয় শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হার গোটা দুনিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৫৭ শতাংশ আসে পরিষেবা ক্ষেত্র থেকে।
আশা করা যায়, ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষে আর্থিক পরিবেশ বৃদ্ধির পক্ষে অনুকূল হবে।
২০১৩-’১৪ অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৪.৫ শতাংশ, অন্তর্বর্তী বাজেটে চিদম্বরম উল্লিখিত ৪.১ শতাংশ নয়।
অর্থনীতির স্বাস্থ্যোদ্ধারে রাজকোষ ঘাটতি হ্রাস করার গুরুত্ব অপরিসীম। এই ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভর্তুকি সংস্কার প্রয়োজন।
ভর্তুকির ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তর ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে।
ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেটারি ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
রাজকোষ ঘাটতি কমাতে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে করের অনুপাত বাড়াতে হবে।
পেট্রেলিয়াম জ্বালানির ক্ষেত্রে বাজার-নির্ধারিত মূল্যস্তরের দিকে হাঁটতে হবে।
এপ্রিল মাসে শিল্পক্ষেত্রে যে পুনরুজ্জীবনের আভাস পাওয়া গিয়েছে, তা স্থায়ী হবে বলেই আশা। নির্মাণ শিল্পে বৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী হবে।
২০১২-’১৩ সালে চলতি খাতে ঘাটতির পরিমাণ মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৪.৭ শতাংশ ছিল। ২০১৩-’১৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১.৭ শতাংশে।
গোটা দেশে কৃষিপণ্যের বাজার অভিন্ন হওয়া প্রয়োজন।
গণবণ্টন ব্যবস্থার জন্য গোটা দেশে যে ফসল কেনা হয়, সেই ব্যবস্থাটির বিকেন্দ্রিকরণ প্রয়োজন।
২০১৩-’১৪ সালে পাইকারি মূল্যসূচকের নিরিখে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫.৯৮ শতাংশ। ভোগ্যপণ্য মূল্যসূচকের নিরিখে এই হার ছিল ৯.৪৯ শতাংশ। দীর্ঘমেয়াদে মূল্যস্ফীতির হারের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে নতুন আর্থিক নীতি প্রয়োজন।
বাণিজ্যখাতে ঘাটতির পরিমাণ কমবে।
আন্তর্জাতিক স্তরে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব অর্থনীতির উপর পড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy