বেসামাল শহর। ছবি: পিটিআই।
হুদহুদ-এর প্রভাবে রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তবে এখনই নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল আগামী দু’-এক দিনের মধ্যেই অন্ধ্রে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার নাইডু বলেন, “ক্ষয়ক্ষতি কতটা কী হয়েছে, এই মুহূর্তে সেটা বলা খুবই শক্ত। এখনও বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে। তবে সব মিলিয়ে ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকা তো বটেই। এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু দাগিয়ে দেওয়াটা ঠিক হবে না।” পাশাপাশি তিনি জানান, এই মুহূর্তে সরকার দুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণের কাজকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলির একাংশ ঘুরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আপৎকালীন সাহায্য হিসেবে তিনি এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দও করেছেন। দুর্যোগের কবলে পড়ে নিহতদের পরিবারকে এককালীন দু’ লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
গত রবিবারে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম, বিজয়নগরম এবং বিশাখাপত্তনম জেলার বিস্তীর্ণ অংশ লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে রাজ্য সরকার সব রকমের ব্যবস্থা নিলেও বেশির ভাগ জায়গাতেই পরিস্থিতি যে এখনও সেই তিমিরেই, সে কথা এ দিন স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিনও স্বাভাবিক হয়নি হুদহুদ বিধ্বস্ত বিশাখাপত্তনম। শহরের অর্ধেকেরও বেশি জায়গা বিদ্যুৎহীন। নেই জল। খাবার অপ্রতুল। যোগাযোগ ব্যবস্থাও তথৈবচ। খোলেনি বেশির ভাগ এটিএম এবং পেট্রোলপাম্প। চার দিকে ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি। বন্ধ বিমানবন্দর। চন্দ্রবাবু জানিয়েছেন, এ দিন সন্ধ্যা অথবা বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে শহরের বেশির ভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। তিনি আরও জানান, মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। খুব শীঘ্রই মোবাইল পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে তাঁর দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy