এইচএসবিসি ব্যাঙ্কের জেনিভা শাখায় কালো টাকা গচ্ছিত আছে এমন ৬০ জন ভারতীয়ের নাম খুব শীঘ্রই প্রকাশ করতে চলেছে কেন্দ্র। এঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কর ফাঁকি সংক্রান্ত মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ৬০ জনের ওই তালিকায় রয়েছেন কর্পোরেট ও বাণিজ্য জগত-সহ অন্য বেশ কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। জানা গিয়েছে, বিদেশি ব্যাঙ্কের ওই শাখায় গচ্ছিত কালো টাকার পরিমাণ দেড়শো কোটিরও বেশি।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সোমবার জানান, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে কালো টাকা সংক্রান্ত সমস্ত নথি সংগ্রহের কাজ শেষ করা হবে। যাঁরা দোষী প্রমাণিত হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র। তিনি জানান, বিশেষ তদন্তকারী সংস্থা (সিট)-র নির্দেশে আয়কর দফতর ইতিমধ্যে ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করেছে।
লোকসভা ভোটের সময়ে নির্বাচনী ইস্তাহারে বিজেপি জানিয়েছিল, সরকার গঠনের একশো দিনের মধ্যে বিদেশি ব্যাঙ্কে গচ্ছিত কালো টাকা উদ্ধার করা হবে। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরই কালো টাকা উদ্ধারের জন্য বিরোধীদের চাপ বাড়তে থাকে মোদী সরকারের উপর। প্রতিশ্রুতি মতো কালো টাকা উদ্ধারে বিজেপি সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে সরব হয় কংগ্রেস। লোকসভা থেকে রাজ্যসভা উত্তাল হয়ে ওঠে এই প্রশ্নে। বিরোধীদের জবাব দিতে আসরে নামেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী ৮০০ জনের মধ্যে ১৩৬ জনের নাম প্রকাশ করতে পারবে কেন্দ্র। কালো টাকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরই গত বছরের ২৭ অক্টোবর শীর্ষ আদালতের কাছে হলফনামা দিয়ে তিন জনের নাম প্রকাশ করে কেন্দ্র। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ডাবর ইন্ডিয়া গোষ্ঠীর প্রদীপ বর্মন, রাজকোটের ব্যবসায়ী পবন চিমনলাল লোধিয়া এবং গোয়া খনি সংস্থার কর্ণধার রাধা টিম্বলো। পাশাপাশি, ওই হলফনামায় জানানো হয়, বাকিদের বিরুদ্ধে আইন ভাঙার কোনও অভিযোগ নথিভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের নাম প্রকাশ করা যাবে না।
বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মালিকদের সব নাম পেশ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই ২০১৪-র ২৯ অক্টোবর ৬২৭ জনের নামের তালিকা আদালতের হাতে তুলে দেয় কেন্দ্র। কালো টাকা বিষয়ে তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম বি শাহর নেতৃত্বে গঠন করা হয় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় ২০১৪-র মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে প্রথমিক তদন্ত শেষ করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy