পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তনের সরকারের ক্ষমতা দখলের নেপথ্যে ছিল প্রতিবেশী দেশের মৌলবাদী সংগঠন। মঙ্গলবার সেই পুরনো অভিযোগের সমর্থনে পরিসংখ্যান দিলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের জামাতে ইসলামি এবং বিএনপি-র সহযোগিতায় সীমান্ত এলাকার ৪৫টি বিধানসভা আসনে জয় এসেছিল তৃণমূল-কংগ্রেস জোটের।
এ দিন সিদ্ধার্থনাথ জানান, ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে ওই এলাকার ৭৫টি আসনে ‘বিদেশি’ সহযোগিতা চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রস। পরিবর্তে বাংলাদেশে ক্ষমতা দখলে জামাতকে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয় তারা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তার মধ্যে ৪৫টি আসন দখল করে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট। ৩২টি আসনে তৃণমূল এবং ১৩টি আসন কংগ্রেসের দখলে আসে। জামাত-তৃণমূল এই আঁতাঁতের বিষয়টি বাংলাদেশের সংবাদপত্রে সেই সময় প্রকাশিত হয়েছিল বলেও এ দিন দাবি করেন ওই বিজেপি নেতা। এমনকী, বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের কাছে এ বিষয়ে তথ্য ছিল বলে তাঁর দাবি। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কলকাতায় বসে সিদ্ধিনাথবাবু হালে পানি পাচ্ছেন না। এখন চলে গিয়েছেন সীমান্তে। পাগলে কী না বলে, এ রকম কাল্পনিক অভিযোগ করার সাহস কারওরই ছিল না এত দিন। কারা জামাতের বন্ধু বোঝা যাচ্ছে।” পার্থবাবুর আরও মন্তব্য: “যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বলার এবং তৎপর হওয়ার কথা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে যে তথ্য থাকার কথা, তা এক জন নেতার কাছে থাকে কী করে? আমার সন্দেহ হচ্ছে, রাজনাথ কী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেই?”
সারদা-কাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের একাংশের যোগ নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন আগেই। এ বার রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপের বাড়বাড়ন্তেও শাসক দলের নিস্পৃহতার অভিযোগ করেন তিনি। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে শাসক দলকে ‘তৃণমূল মুজাহিদিন কংগ্রেস’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। এ রাজ্য যে জামাতের নিরাপদ বিচরণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে সে সময় তা-ও উল্লেখ করেছিলেন সিদ্ধার্থনাথ।
সোমবার সল্টলেকের এনআইএ-র অস্থায়ী দফতরের সামনে জোরালো শব্দ নিয়ে এ দিন মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, “সিআরপিএফ ক্যাম্পের পাশের এই ঘটনা কিন্তু সাঙ্কেতিক। এর আওয়াজ কম হলেও বার্তা অনেক বড়।” এ ব্যাপারে পার্থবাবু বলেন, “আমাদের পুলিশের যোগ্যতা আছে। এনআইএ তো সার্টিফিকেটই দিয়েছে।” রাজ্যে জঙ্গি মডিউলের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে এ দিন আশঙ্কা প্রকাশ করেন সিদ্ধার্থনাথ। জঙ্গি দমনে শাসক দলের ব্যর্থতার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “খাগড়াগড় বিস্ফোরণে নিহত শাকিল আহমেদের মেটিয়াবুরুজের বাড়িতে ২০১২-তে বিস্ফোরণ হয়েছিল। সে ঘটনার সঠিক তদন্ত হলে খাগড়াগড়ের মতো ঘটনা এড়ানো যেত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy