পারলেন না ভামব্রি।
২০১১ সালের পুনরাবৃত্তি হল না লিয়েন্ডারদের! ডেভিস কাপের ওয়ার্ল্ড গ্রুপে ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও এক বছর। শেষ বার ডেভিস কাপের ওয়ার্ল্ড গ্রুপে ভারত খেলেছিল ২০১১-তে। সে বার অবশ্য এই সার্বিয়ার কাছেই প্রথম রাউন্ডে হেরেছিল ভারত। সোমবার নির্ণায়ক ম্যাচে সার্বিয়ার কাছে স্ট্রেট সেটে হারল ভারত। বৃষ্টির জন্য রবিবারের পঞ্চম ম্যাচটি পিছিয়ে যায়। এ দিন সার্বিয়ার ফিলিপ ক্রাজিনোভিচের কাছে ৬-৩, ৬-৪, ৬-৪ হারল ভারতের য়ুকি ভামব্রি। ফলে ২০১৫-র এশিয়া-ওশেনিয়া খেলেই ফের ওয়ার্ল্ড গ্রুপে পৌঁছনোর চেষ্টা করতে হবে লিয়েন্ডার-ভামব্রি-বোপান্নাদের।
শুরু থেকেই বেশ কঠিন ছিল এই টাই। বিশ্বের পয়লা নম্বর নোভাক জকোভিচ না খেললেও ২০১০-এর ডেভিস কাপ চ্যাম্পিয়নদের হারানো সহজ ছিল না। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে দলগত ভাবে সার্বিয়া রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। গত বার এই টুর্নামেন্টের খেতাবি লড়াইয়েও ছিল তারা।
শুক্রবার প্রথম দু’টি সিঙ্গলস ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে চলে গেলেও ভারতকে অক্সিজেন দেন বছর একচল্লিশের লিয়েন্ডার পেজ। রোহন বোপান্নাকে সঙ্গী করে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে নেনাদ জিমোনজিচ-ইলিয়া বোজোলিয়াক জুটিকে হারান লি। ডাবলসের ম্যাচ জেতায় রবিবার দু’টি রিভার্স সিঙ্গলসের গুরুত্বও বেড়ে যায়।
প্রথম রিভার্স সিঙ্গলসে সোমদেব দেববর্মন হারান বিপক্ষের এক নম্বর প্লেয়ার দুসান লায়োভিচকে। নির্ণায়ক রাবারে বোপান্নার বদলে খেলেন ভামব্রি। কিন্তু এ দিনের ম্যাচে অনেকগুলি আনফোর্সড এরর করেন তিনি। ম্যাচে দু’বার ব্রেক পয়েন্ট পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি ভামব্রি। ৪-৬, ৪-৪ অবস্থায় নিজের সার্ভিস হারান তিনি। পরের গেমে ক্রাজিনোভিচের সার্ভিস ভাঙার সুযোগ পেয়েও তা হাতছাড়া করেন ভামব্রি। গোটা ম্যাচে নিখুঁত স্ট্রোক প্লে এবং উইনার্স মেরে ম্যাচে নিজের ছাপ রাখেন ক্রাজিনোভিচ। তৃতীয় সেটে ৩-১ লিড নেন তিনি। পরের তিনটি সার্ভিস গেমে মাত্র চার পয়েন্ট পান য়ুকি। পঞ্চম গেমে দু’টি ব্রেক পয়েন্ট বাঁচালেও নিজের সার্ভিস গেমে ম্যাচ এবং টাই জিতে নেন ক্রাজিনোভিচ।
ছবি: পিটিআই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy