হুমায়ুন কবীর। নিজস্ব চিত্র।
মুকুল-পুত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত থাকলেও মুকুল-ঘনিষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অবশ্য দেরি করলেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করার পরে ২৪ ঘণ্টাও কাটল না, প্রাক্তন মুর্শিদাবাদ জেলা কার্যকরী সভাপতি হুমায়ুুন কবীরকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার করল তৃণমূল। দলবিরোধী কাজের জন্য হুমায়ুনকে এর আগে শোকজ করা হয়েছিল।
দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানান, দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে আগেই শোকজ করা হয়েছিল। তিনি শোকজের জবাব তো দেনইনি, উল্টে ২৪ ঘণ্টা আগেই দলীয় নেতৃত্বের সমালোচনা, বিশেষ করে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ বা সরাসরি আক্রমণ করায় হুমায়ুনের বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেওয়া হল। হুমায়ুন অবশ্য দলের এই পদক্ষেপে আদৌ বিচলিত নন। তাঁর কথায়: “এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিতই ছিল। তবে দল সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানায়নি। ২০১৪-র লোকসভা ভোটের সময় থেকেই অঘোষিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল।” এতেও না থেমে হুমায়ুনের মন্তব্য: “দলের এই সিদ্ধান্তে আমি খুশি। তৃণমূলের কোনও অন্যায় দেখলে এর পরেও আমি প্রতিবাদ করব।”
যাঁর হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন হুমায়ুন, সেই মুকুল রায়ের সমর্থনে মুখ খোলেন তিনি। সরাসরি মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সাধ হয়েছে, ভাইপোকে রাজা বানাবেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাঁর সেই সাধ পূর্ণ করবেন না। এই মুখ্যমন্ত্রীর পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা উনি নির্ধারণ করতে পারেন না। নির্ধারণ করবেন জনগণ। ভাইপোকে রাজা বানানোর আশা পূরণ হবে না।” এরই পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী, দলের প্রাক্তন মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক ইন্দ্রনীল সেনের বিরুদ্ধে ‘তোলাবাজি’র অভিযোগও আনেন হুমায়ুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy