তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে গেল পাঁশকুড়া বনমালী কলেজে। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দু’টি দলের ঝামেলাকে ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলেজ চত্বর। এই সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন দু’টি দলের অন্তত ১০ জন কর্মী। আহতদের পাঁশকুড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আগামী ১৪ অগস্ট থেকে কলেজ পরিচালন সমিতির নির্বাচন শুরু হবে। এই নির্বাচনকে ঘিরেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি পুলিশের।
কী ঘটেছিল এ দিন?
পুলিশ জানায়, বুধবার নির্বাচনের নোটিস বেরনোর পর থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দু’টি দলের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। পাঁশকুড়া কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই ছাত্র সংসদের অফিস রয়েছে। এ দিন সকালে এই অফিসে বসেছিলেন ছাত্র পরিষদের সভাপতি-সহ বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মী। এই কর্মীরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাইদুল খানের অনুগামী বলে দাবি পুলিশের। অভিযোগ, বেলা ১১টা নাগাদ ছাত্র সংসদের অন্য একটি দলের লোকজন এই অফিসে এসে হামলা চালায়। পুলিশ জানায়, এই দলের লোকেরা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আনিসুর রহমানের ঘনিষ্ঠ। ঘণ্টাখানেক ধরে কলেজ চত্বরে লাঠি, হকিস্টিক নিয়ে ভাঙচুর চালায় দু’টি দল। ছাত্র সংসদের অফিস-সহ অধ্যক্ষের ঘরও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনায় দুপুর পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাইদুল খান বলেন, “বহিরাগত এক দল দুষ্কৃতী কলেজে এসে হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় আমাদের দলের ছ’জন কর্মী আহত হয়েছেন।” তাঁর দাবি, পুলিশ অনেক দেরি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আমাদের দলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy