বন্ধ্যাকরণ শিবিরে ১৩ মহিলার মৃত্যুকে ঘিরে দেশ জুড়ে ভাবমূর্তির যে ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা শুরু করল বিজেপি। তদন্ত কমিটি গঠন, তাঁদের পরিবারকে এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি এ বার মৃতদের সন্তানদের দায়িত্ব নিল ছত্তীসগঢ় সরকার।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মা হারানো প্রত্যেক সন্তানের জন্য দু’লাখ টাকা ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে রাখা হবে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ওই টাকা সুদে-আসলে তারা তুলতে পারবে। শুধু তাই নয়, ওই সব বাচ্চাদের পড়াশোনার পাশাপাশি ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাদের চিকিত্সার খরচও বহন করবে সরকার।
গত ১১ নভেম্বর বিলাসপুরের একটি সরকারি বন্ধ্যাকরণ শিবিরে অস্ত্রোপচারের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৬৯ জন মহিলা। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। যে চিকিত্সক গত ৯ নভেম্বর ওই মহিলাদের অস্ত্রোপচার করেন সেই আর কে গুপ্তকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় একটি ওষুধ কোম্পানির মালিক ও তাঁর ছেলেকে। অভিযোগ, ওই সংস্থার ওষুধ খাওয়ার পরই মহিলারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই দিন ৮৩ জন মহিলার অস্ত্রোপচার করেন চিকিত্সক গুপ্ত। এর আগে ১ লাখেরও বেশি এই সংক্রান্ত অস্ত্রোপচারের অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর। তা সত্ত্বেও কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটে, ওঠে সেই প্রশ্নও। বিলাসপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ চার স্বাস্থ্যকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। বদলি করা হয় এক শীর্ষ আধিকারিককে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘটনার বিষদে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের কাছে। এর পরেই নড়েচড়ে বসে সরকার। দিল্লির এইমস থেকে আসে ৭ সদস্যের এক চিকিত্সক দল। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি।
অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনিতা ঝা-এর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ছত্তীসগঢ় সরকার। আগামী তিন মাসের মধ্যে ওই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে সরকারি সূত্রে খবর। কিন্তু বিরোধীরা তো বটেই, রাজ্যের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও অনিতাদেবীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের বক্তব্য, ২০১১ সালে ভুয়ো সংঘর্ষে এক উপজাতি মহিলার মৃত্যু হয়। সেই তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল অনিতা ঝাকে। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সেই তদন্তের কোনও সুরাহা হয়নি। তা হলে কী ভাবে এই ঘটনায় তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন তিনি? উঠেছে সেই প্রশ্নও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy