দুপুরে নির্জন রাস্তায় মোটরবাইকে চেপে আসা ছিনতাইকারীরা পথচারীর টাকার ব্যাগ, ছিনতাই করে চম্পট দিচ্ছে, এমন ঘটনা আগে ঘটেছে। এমনকী দুপুরের রাস্তায় পথচারীরা কেপমারের খপ্পরে পড়ে টাকাপয়সা, গয়নাগাটি খুইয়েছেন, এমন ঘটনাও ঘটেছে। এ বার ভরদুপুরে বাড়ির সিঁড়ির মধ্যে ক্লোরোফর্ম জাতীয় কিছু দিয়ে অচৈতন্য করে এক মহিলার সোনার দুল ও কয়েক হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়ার ঘটনা ঘটল। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার দুপুরে লেকটাউন থানা এলাকার পাতিপুকুরের ভগিনী নিবেদিতা কলোনিতে। পুলিশ জানিয়েছে, শিখা শীল নামে ওই মহিলা এই ঘটনার পরে সামান্য অসুস্থও হয়ে পড়েন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আটচল্লিশের মহিলা শিখাদেবী লেকটাউনের ভগিনী নিবেদিতা কলোনিতে তাঁর পরিবার নিয়ে থাকেন। শিখাদেবী জানান, তিনি দুপুরবেলা পাড়ার একটি সোনার দোকানে যাচ্ছিলেন। বাড়ি থেকে যখন তিনি বেরোতে যান তখন রাস্তা থেকে এক অচেনা মহিলা তাঁর কাছে একটি ঠিকানা জানতে চান। ওই ঠিকানা কোথায় তা জানতেন শিখাদেবী। ওই মহিলা তাঁকে বলেন, অনেক ক্ষন ধরে তিনি ঠিকানাটা খুঁজছেন। ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। একটু জল খাবেন। শিখাদেবী বলেন, “আমি ওকে এক গ্লাস জল দিই। তারপর ওই মহিলা যে বাড়িটা খুঁজছিল সেই বাড়িটা ওনাকে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য একসঙ্গে বাড়ি থেকে বেরোই। ওই বাড়ির সিঁড়ির নীচে ওই মহিলা হঠাত্ই আমার নাকে রুমাল জাতীয় কিছু চেপে ধরেন। তারপর আমি কেমন আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি। বুঝতে পারছিলাম ওই মহিলা কানের দুল খুলে নিচ্ছে কিন্তু এমন আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম যে বাধা দিতে পারছিলাম না। আমার হাতব্যাগে থাকা ৮ হাজার টাকাও ও নিয়ে নেয়।”
শিখা দেবী বাড়ি ফিরছেন না দেখে তাঁর মেয়ে তাঁকে খুঁজতে বেরোন। পরে বাড়ির সিঁড়িতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
ভর দুপুরে এইভাবে অচৈতন্য করে ছিনতাইয়ের ঘটনা এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেটের এডিসিপি দেবাশিস ধর বলেন, “এ দিনের ঘটনায় মাঝবয়সী ওই মহিলা এলাকায় পরিচিত বলেই মনে হয়। যে বাড়ির ঠিকানা খুজছিলেন ওই মহিলা সেই বাড়ির লোকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। শিখাদেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই মহিলার স্কেচ আঁকানো হবে। আশা করা যায় দ্রুতই কিনারা হয়ে যাবে।” বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, এলাকায় পুলিশ জিপের টহলদারির সঙ্গে মোটরবাইক টহলদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy