পদার্থবিদ্যায় এ বছরের নোবেল প্রাইজ পেলেন ইসামু আকাসাকি, হিরোশি আমানো এবং শুজি নাকামুরা। এলইডি (লাইট-এমিটিং ডায়োড) উত্স থেকে নীল আলো উত্পাদনের কৌশল আবিষ্কারের স্বীকৃতিতে ওঁরা তিন জন পাচ্ছেন ওই পুরস্কার। যার অর্থমূল্য ১১ লক্ষ ডলার।
পঁচাশি বছর বয়সী আকাসাকি অধ্যাপনা করেন জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, আমানো (৫৪) পড়ান ওখানেই। আর নাকামুরা (৬০) জন্মসূত্রে জাপানি হলেও এখন মার্কিন নাগরিক, পড়ান সান্টা বারবারায় ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এলইডি উত্স থেকে লাল এবং সবুজ আলো উত্পাদনের কৌশল আগেই আবিষ্কৃত হয়েছিল, কিন্তু নীল আলো উত্পাদনের কৌশল ছিল অধরা। ওই লক্ষ্যে চেষ্টা চলছিল বহু মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে। তিরিশ বছর ধরে ব্যর্থ হয়েছিলেন বহু গবেষক। অবশেষে সাফল্য ওই তিন জনের। নীল আলো উত্পাদন বিনে সম্ভব হতো না সাদা আলোর এলইডি বাল্ব। লাল এবং সবুজের সঙ্গে নীল মিশিয়ে পাওয়া যায় সাদা আলো।
নীল এলইডি-র আবিষ্কারে বিপ্লব এসেছে পথ-ঘাট, বাড়িঘর আলোকিত করায় কিংবা বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতিতে আলো আমদানিতে। অনেক কম বিজলি পুড়িয়ে অনেক বেশি আলো পাওয়া সম্ভব হয়েছে। আর এলইডি বাল্ব টেকসইও অনেক বেশি। পুরনো দিনের বাল্ব টিকতো হাজার ঘণ্টা, টিউবলাইট টেকে ১০ হাজার ঘণ্টা, আর এলইডি বাল্ব সেখানে আলো দিতে পারে এক লক্ষ ঘণ্টা। নীল এলইডি আজ ঘোরে পৃথিবী জুড়ে কোটি কোটি মানুষের পকেটে। স্মার্ট ফোন কাজ করে ওই আলোয়। আর তিন রং মিলিয়ে যে সাদা এলইডি, তা কাজে লাগে কম্পিউটার বা টিভি-র পর্দায়।
আজ ভোরে এই খবরেই ঘুম ভাঙে নাকামুরার। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, “এটা অবিশ্বাস্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy