পদত্যাগপত্র দিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার পথে। ছবি: পিটিআই।
জনাদেশ সামনে আসার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর পদত্যাগ ছিল নেহাতই সময়ের অপেক্ষা। শনিবার সকালে বিদায়ী মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরই পঞ্চদশ লোকসভা ভেঙে দেওয়ার আর্জি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছন মনমোহন সিংহ। পুষ্পস্তবক ও শুভেচ্ছা বিনিময় এবং রাষ্ট্রপতির হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেওয়ার জন্য যেটুকু সময়—প্রণব-মনমোহনের এ দিনের সাক্ষাত্কার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত। তবে বিরল হলেও অতিথিকে বিদায় জানানোর সময় রাষ্ট্রপতিকে দেখা গেল রাইসিনা-চত্বরে নেমে আসতে। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, মনমোহনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। তবে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত না-হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেছেন রাষ্ট্রপতি।
ষোড়শ লোকসভা গঠনে শুক্রবারই জনাদেশ প্রকাশ্যে এসেছে। দেশজুড়েই ইউপিএ-র ভরাডুবি হয়েছে। গত ১০ বছর ধরে মনমোহনই ছিলেন ইউপিএ সরকারের প্রধনমন্ত্রী। আগামীতে যাঁরা সরকার গঠন করবেন তাঁদের সাফল্য কামনা করে এ দিন মনমোহন বলেন, “নতুন সরকারের হাত ধরে দেশে আরও সাফল্য আসুক এই প্রার্থনা করি।”
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দূরদর্শনে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন মনমোহন। ছবি: এএফপি।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দূরদর্শনে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন মনমোহন। গত ১০ বছরে তাঁর কাজকর্মকে ‘খোলা খাতা’ বলে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি আপনাদের সামনে শেষ বারের মতো ভাষণ দিচ্ছি। দশ বছর আগে, যখন এই দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন সততাকে মূল মন্ত্র করে সত্যকে নির্দেশক রেখে পথ চলা শুরু করেছিলাম। সর্বদা প্রার্থনা করতাম যাতে সঠিক কাজ করে যেতে পারি।” শুরুর সে দিনের পাশে শেষের দিনকে রেখে তিনি নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, “জনাদেশের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। কারণ জনাদেশই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy