Advertisement
০৩ মে ২০২৪

সুপ্রিম কোর্টকে ম্যাচ গড়াপেটার চূড়ান্ত রিপোর্ট দিল মুদগল কমিটি

আইপিএল-এ ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট সোমবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দিল মুদগল কমিটি। মুখবন্ধ খামে এই রিপোর্ট এ দিন সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে শুনানি হবে আগামী ১০ নভেম্বর। যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল মুদগল কমিটি তাঁর মধ্যে বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি এন শ্রীনিবাসনও রয়েছেন। সে দিনই ঠিক হবে বিসিসিআই-এর নির্বাসিত সভাপতি তাঁর গদি ফিরে পান কি না!

এন শ্রীনিবাসন। ছবি: পিটিআই।

এন শ্রীনিবাসন। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৫:৫৫
Share: Save:

আইপিএল-এ ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট সোমবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দিল মুদগল কমিটি। মুখবন্ধ খামে এই রিপোর্ট এ দিন সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে শুনানি হবে আগামী ১০ নভেম্বর। যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল মুদগল কমিটি তাঁর মধ্যে বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি এন শ্রীনিবাসনও রয়েছেন। সে দিনই ঠিক হবে বিসিসিআই-এর নির্বাসিত সভাপতি তাঁর গদি ফিরে পান কি না!

ম্যাচ গড়াপেটার বিষয়টি সামনে আসে ২০১৩-র আইপিএল-এ। গড়াপেটায় জড়িতা থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শ্রীসন্থ, রাজস্থান রয়্যালস-এর অজিত চান্ডিলা, অঙ্কিত চৌহান এবং ১১ জন বুকিকে। তাঁদের নির্বাসনে পাঠানো হয়। নাম উঠে আসে শ্রীনিবাসন-সহ ১৪ জনের। নাম জড়ায় শ্রীনিবাসনের জামাই তথা চেন্নাই সুপার কিংস-এর অন্যতম মালিক মইয়াপ্পনেরও।

ম্যাচ গড়াপেটার বিষয়ে তদন্তের জন্য বিসিসিআই দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে অস্বচ্ছতার কারণ দেখিয়ে ২০১৩-র জুনে বিহার ক্রিকেট বোর্ডের সচিব আদিত্য বর্মা বম্বে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। বম্বে হাইকোর্টও তদন্তকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে। তখন বিসিসিআই এবং সিএবি বম্বে হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তদন্তের স্বার্থে সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি মুকুল মুদগলের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিচারপতি মুকুল মুদগল ছাড়াও এই কমিটিতে ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এল নাগেশ্বর রাও এবং আইনজীবী নিলয় দত্ত। ২০১৪-র ১০ ফেব্রুয়ারি মুদগল কমিটি সুপ্রিম কোর্টকে দু’টি রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টে ১৩ জনের নাম উঠে আসে। তাঁদের মধ্যে ছিল শ্রীনিবাসনের নাম। তার পরই বিসিসিআই-এর সভাপতির পদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। বোর্ডের অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয় সুনীল গাওস্কর এবং শিবলাল যাদবকে। নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেন শ্রীনিবাসন। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও সুবিধা করতে পারেননি তিনি। মুদগল কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টে যে নামগুলি উঠে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এ বছরের অগস্টে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তদন্ত শেষ না হওয়ায় আরও দু’মাস সময় চায় কমিটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bcci srinivasan mudgal committe
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE