গুঞ্জনটা ছিলই, করেও দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু নতুন সরকারের ঊষালগ্নে প্রশ্নটা নিজেই তুলে দিলেন, ভোট চলার সময় প্রচারের মঞ্চ থেকে তবে এত ঢাকঢোল পিটিয়ে কথাগুলো বলেছিলেন কেন তিনি?
নারদ হুলে বিদ্ধ দলীয় নেতারা সসম্মানে ফিরছেন মন্ত্রিসভায়। বিপুল ভাবে ক্ষমতায় ফেরার পর এমনটাই হবে, এই জল্পনাই ছিল। তৃণমূল নেতারা একান্তে বলতে শুরু করেছিলেন, নারদ-অভিযোগকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। অতএব, যাঁরা ছিলেন তাঁরা তো ফিরছেনই, যাঁরা ছিলেন না, তাঁদেরও মন্ত্রিসভায় আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রত-ফিরহাদ ফিরলেন, নতুন এলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। নারদ-কাণ্ডে আঙুল উঠেছিল যাঁদের বিরুদ্ধে।
এ কথা ঠিক, অভিযোগ যেখানে প্রমাণিত হয়নি এখনও, তাই আইনের চোখে এই নেতারা নির্দোষ এবং অতএব মন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতাবঞ্চিত নন এঁরা কেউই। কিন্তু, প্রশ্নটা যে মমতা নিজেই তুলে দিয়েছিলেন। ভোটলগ্নে প্রচারমঞ্চ থেকে বলেছিলেন, আগে জানলে অন্য রকম ভাবতেন তিনি। ইঙ্গিতটা স্পষ্ট ছিল, এই নেতাদের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ ছিল, যদি নারদ-অভিযোগ আর একটু আগে জানতেন দিদি।