জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।
‘ইন্ডিয়া’ ক্ষমতায় এলে শেয়ার বাজারে ‘ধস নামবে’— এই কথা রটিয়ে বিজেপি আতঙ্ক তৈরি করতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, খোদ অমিত শাহ শেয়ার বাজারে লগ্নিকারীদের মধ্যে ‘ইন্ডিয়া’ নিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে চাইছেন। আজ কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন, আর্থিক বৃদ্ধি ও সকলের জন্য উন্নয়নের মাপকাঠিতে অতীতের কংগ্রেস সরকারের ‘ট্র্যাক রেকর্ড’ অনেক ভাল।
কংগ্রেস তথা বিরোধী শিবির মনে করছে, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের কর্মী, বিদেশে কয়েক বছর কাজ করে আসা তরুণ-তরুণী, কর্পোরেট জগতের কর্মী থেকে সাধারণ চাকরিবাকরি বা ব্যবসায় যুক্ত নতুন প্রজন্মের একটা বড় অংশই এখন শেয়ার বাজারে টাকা লগ্নি করেন। এঁদের অনেকেরই বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি অপছন্দ হলেও শুধু মাত্র মোদী জমানায় শেয়ার বাজার চড়া থাকে বলে তাঁরা বিজেপিকে ভোট দেন। ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে তাঁদের শেয়ার বাজারের টাকা ডুবে যাবে বলে বিজেপি আতঙ্ক তৈরি করতে চাইছে।
ঘটনা হল, লোকসভা নির্বাচনের মরসুমে শেয়ার বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণেই এই অস্থিরতা। ‘ইন্ডিয়া’-র ‘মিলিজুলি’ সরকার ক্ষমতায় এলে শেয়ার বাজার আরও পড়তে পারে বলেও অনেকের আশঙ্কা। এর মধ্যেই অমিত শাহ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেয়ার বাজারের ধসের সঙ্গে ভোটের সম্পর্ক নেই। তবে তাঁর পরামর্শ, ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগে শেয়ার কিনে রাখুন। ৪ জুনের পরে শেয়ার বাজার চড়া হবে।
আজ জয়রাম পাল্টা বলেছেন, অমিত শাহ আতঙ্ক তৈরি করতে চাইছেন, যার কোনও ভিত্তি নেই। মনমোহন সরকারের আমলে মোদী সরকারের তুলনায় আর্থিক বৃদ্ধি, লগ্নি, কারখানার
উৎপাদনের হার অনেক বেশি ছিল। মোদী সরকার নোট বাতিল, জিএসটি, অপরিকল্পিত লকডাউন করে অনিশ্চয়তা, আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। তার সঙ্গে কর সন্ত্রাস, তদন্তকারী সংস্থার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করা যোগ হয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী তারুরের বক্তব্য, কংগ্রেসের ইস্তাহার কমিটিতে আর্থিক বৃদ্ধি ও সামাজিক ন্যায়, দুইয়ের প্রতি কংগ্রেসের দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোদী সরকারের ‘কর-সন্ত্রাস’ আসলে শিল্পমহলকে দেশ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে বলে তাঁর দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy