করিমপুর বাজারে জনসংযোগে মহম্মদ সেলিম। নিজস্ব চিত্র।
করিমপুর বিধানসভা এলাকার কর্মী-সমর্থক নিয়ে সভা করেলেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। রবিবার নাটনা মোড় সংলগ্ন একটি বেসরকারি লজে প্রথমে কর্মিসভার পর করিমপুর বাজার চত্বর, নতিডাঙা মোড়ে প্রচারও চলে। প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের নদিয়া জেলা কমিটির সম্পাদক সুমিত দে, করিমপুর ১ ও ২ এরিয়া কমিটির সম্পাদক সন্দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ও লিয়াকত হোসেন-সহ অন্যেরা।
সিপিএমের দাবি, কর্মিসভা ও পথপ্রচারে ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছে। সিপিএমের জেলা কমিটির সম্পাদক সুমিত দে বলেন, ‘‘প্রথম দিনেই আমাদের প্রার্থীকে নিয়ে এলাকার মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।’’
সিপিএমের দাবি, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ আসনে তৃণমূল প্রার্থী জিতলেও ওই আসনে বামেরা নয়তো কংগ্রেস জিতে এসেছে। এ বারেও জোট প্রার্থী জেতার মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সিপিএমের করিমপুর ১ ও ২ এরিয়া কমিটির সম্পাদক যথাক্রমে সন্দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ও লিয়াকত হোসেন এ বারে ওই আসনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তাঁদের দাবি, ‘‘যতই মুখে বিজেপির বিরোধিতা করে তৃণমূল ভাষণ দিক না কেন, তলে তলে বিজেপির সবথকে বড় জোট সঙ্গী তৃণমূল। এটা মানুষ বুঝে গিয়েছেন। মানুষ তাই আমাদের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।’’
স্থানীয় সিপিএম নেতাদের দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে করিমপুর ২ ব্লক এলাকায় সিপিএম বেশ কিছু আসনে প্রায় ২৫ থেকে ২৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এ ছাড়াও তাঁদের জোট সঙ্গী কংগ্রেস বেশ কয়েকটি আসনে জয়লাভ করে। তৃণমূলকে ভোট দিয়ে যে ভুল হয়েছে, তা মানুষ বুঝতে পেরেছেন। যে কারণে এ বারের লোকসভা নির্বাচনে জোটপ্রার্থীকে এগিয়ে রাখছেন তাঁরা।
এ দিন কৃষ্ণনগরের জনসভায় জোট নিয়ে মমতার কটাক্ষ নিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন ২২ দলের জোট ছিল। এখন তৃণমূলের সঙ্গে কোনও দলই আর জোট নেই। উল্টে দেখুন আমাদের দলের সঙ্গে কংগ্রেস, হামরো পার্টি-সহ বেশ কয়েকটি দল জোট করেছে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা হয়ে গিয়েছেন, সেটা উনি বুঝতে পারছেন। এ দিন করিমপুরে কর্মী বৈঠকের পর পথপ্রচারে খুব ভাল সাড়া পেয়েছি। শুধু অপেক্ষা করুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy