কোনও গোলমাল নয়, নির্বিঘ্নে ভোট দিতে চান জেলার নতুন ভোটারেরা। এ বারই প্রথম ভোট দিতে চলা ডোমকলের শামিম আল আমিন বলছেন, ‘‘ভোটে খুনোখুনি, মারপিট, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রথম বার ভোট দিতে যাওয়ার আগে আমার দাবি, নির্বাচন কমিশন যেন আমাদের নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করে।
গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দেশ জুড়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদের প্রায় এক লক্ষ ২২ হাজার নতুন ভোটার এ বার। এঁদের বয়স ১৮-১৯ বছরের মধ্যে। গত ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবসে নতুন ভোটারদের ভোটদানে সচেতন করা-সহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছিল জেলা প্রশাসন।
সেদিন বহরমপুরে বিজেপির যুব মোর্চার তরফে নতুন ভোটারদের নিয়ে অনুষ্ঠান হয়েছে। বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘নতুন ভোটারেরা নতুন ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। তা একমাত্র নরেন্দ্র মোদীই
করতে পারেন।’’
জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘যাঁরা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ভোট দেবেন, সেই ভাই-বোনেরা যেন দেশের নিরাপত্তা, সংবিধান, গণতন্ত্র, অগ্রগতির কথা মাথায় রেখে ভোট দেন।’’ বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘ভারতের সংবিধান ও ইতিহাস পড়ে, জেনে যেন নতুন ভোটারেরা
ভোট দেন।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে দেশের অন্য এলাকার সঙ্গে মুর্শিদাবাদেও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। গত বছর ১ নভেম্বর প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ভোটার ছিলেন ৫৬ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭৯১ জন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় দেখা যাচ্ছে, জেলার মোট ভোটার ৫৬,৯৩,৮১৮ জন।
অর্থাৎ, খসড়া ভোটার তালিকার থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী জেলায় ৩৯,০২৭ জন ভোটার বেড়েছে। গত বিধানসভা ভোটে জেলায় মোট ভোটার ছিল ৫৪,৮৯,৪৯২ জন। এ বার বেড়ে হয়েছে ৫৬,৯৩,৮১৮ জন। ২০২১ সালের চেয়ে এ বার ২,০৪৩২৬ জন ভোটার বেড়েছে। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি অনুযায়ী, চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় মুর্শিদাবাদে পুরুষ ভোটার ২৮,৯০,৪১৭ জন, মহিলা ভোটার ২৮,০৩,৩০০ জন, তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১০১ জন। ১৮-১৯ বছর বয়সী নতুন ভোটার ১,২২,৮১৮ জন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে ৭৬,৬৩৮ জন ভোটার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছেন। ৩৭,৬১১ জনের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)