নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র
কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারকে কটাক্ষ করতে গিয়ে মুসলিম লিগের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ইস্তাহার প্রকাশ করার পর শনিবার রাজস্থানের জয়পুরে তা ‘জনসমক্ষে’ নিয়ে আসে কংগ্রেস। আর সেই রাজস্থানেরই অজমেরের নির্বাচনী সভা থেকে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মোদী জানালেন, তাদের ইস্তাহার দেখে স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী মুসলিম লিগের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষের প্রেক্ষিতে তাঁকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেসও।
শনিবার জনসভা থেকে মোদী বলেন, “ইস্তাহারে গুচ্ছ গুচ্ছ মিথ্যা কথা বলে কংগ্রেস নিজেদের মুখোশ খুলে দিয়েছে। প্রতি পাতায় ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলা হয়েছে। স্বাধীনতার আগে মুসলিম লিগের ভাবনার প্রতিফলন রয়েছে এই ইস্তাহারে। এখানে কমিউনিস্ট এবং বামপন্থীদের চিন্তাধারার প্রতিফলনও ঘটেছে।” এখানেই থামেননি মোদী। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, কংগ্রেস দেশকে পিছন দিকে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে। তার পরই তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর কয়েক প্রজন্ম ধরে নারীরা বঞ্চিত হয়েছেন। এর জন্য কি কংগ্রেসকে শাস্তি দেওয়া উচিত নয়? ১৯ এপ্রিল আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে কংগ্রেসকে শাস্তি দিন।”
কংগ্রেস অবশ্য মোদীকে কটাক্ষ করে বলেছে, “প্রধানমন্ত্রী নিজের ইতিহাস জানেন না।” বিজেপির পূর্বসুরি রাজনৈতিক সংগঠন জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে এনেছে মল্লিকার্জুন খড়্গের দল। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “হিন্দু মহাসভার তৎকালীন সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ অবিভক্ত বাংলায় মুসলিম লিগের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার চালিয়েছিলেন। বিজেপি বিভেদ সৃষ্টিকারী রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, কংগ্রেস নয়।
শুক্রবার দিল্লিতে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গের উপস্থিতিতে লোকসভা ভোটের ইস্তাহার প্রকাশ করে কংগ্রেস। এ বার কংগ্রেস তাঁর ইস্তাহারের নাম রেখেছে ‘ন্যায়পত্র’। তাদের ‘ন্যায়পত্র’-এ দেশের ৩০ লক্ষ সরকারি শূন্যপদে চাকরি, ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নগদহীন স্বাস্থ্যবিমা, মহিলাদের আর্থিক সহায়তা, জাতগণনা এবং ৫০ শতাংশ পর্যন্ত জাতভিত্তিক সংরক্ষণ (এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য), আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy