—প্রতীকী চিত্র।
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে পিয়া সাহার নাম ঘোষণার পরেই তিনি প্রচার শুরু করেছেন। কিন্তু অভিযোগ, তাঁর প্রচারে দেখা মিলছে না জেলার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অনেকেরই। যা নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি বিরোধীরা। তবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ পিয়া। তাঁর দাবি, ‘‘সকলেই সঙ্গে আছেন। অযথা বিতর্ক হচ্ছে।”
আগে দু’বার বিধানসভায় সাঁইথিয়া কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন পিয়া। দু’বারই তিনি তৃণমূলের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁর প্রার্থীপদ নিয়ে দলের একাংশে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। পিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনেকে পদত্যাগও করেছিলেন। তার পরেও লোকসভায় ফের বোলপুর আসনে পিয়াকে টিকিট দেওয়া নিয়ে বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার নেতা, কর্মীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছিলেন।
পিয়াকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দেওয়ায় বিজেপির কর্মী, সমর্থকদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষও দেখা দেয়। দলের কর্মী, সমর্থকদের একাংশ বোলপুর কেন্দ্রে প্রার্থী বদলের দাবি জানিয়ে রাজ্য সভাপতি-সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ই-মেলও করেন। অভিযোগ, তার পর থেকেই পিয়ার প্রচারে দেখা যাচ্ছে না বোলপুর সাংগঠনিক জেলার অনেক ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নেতাদের। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন জেলার রাজ্য সহ-সভাপতি, বোলপুর লোকসভার আহ্বায়ক তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি, আর এক প্রাক্তন জেলা সভাপতি, জেলা সাধারণ সম্পাদক, শহর সভাপতির মতো নেতারা।
বোলপুর লোকসভা বিভিন্ন এলাকায় দেওয়াল লিখনেও অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন প্রার্থী। বহু দেওয়ালে এখনও শুধু বিজেপির প্রতীক আঁকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বোলপুর শহরেও প্রার্থীকে সক্রিয় ভাবে নামতে দেখা যায়নি এখনও। আর এ নিয়ে দলের অন্দরে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। বিজেপি কর্মীদের একাংশ বলছেন, “বোলপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনে এমন প্রার্থী পেয়ে আমরা হতাশ। তাই এখনও দলের একটি বড় অংশের কর্মী, সমর্থকেরা প্রচারে বিমুখ হয়ে রয়েছেন।”
এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের মনে পিয়া সাহার জন্য কোনও জায়গা নেই। তাই তাঁর দলের নেতা, কর্মীরা রণে ভঙ্গ দিয়েছেন।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘এটা ওদের সাংগঠনিক ব্যাপার। তবে এই দলগুলির এটাই রীতি।”
যদিও বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রার্থী প্রার্থীর মতো প্রচার করে চলেছেন। বাকি নেতা, কর্মীরা সাংগঠনিক কাজ চালাচ্ছেন। এতে প্রার্থী সঙ্গে কারা থাকলেন, কারা থাকলেন না তাতে কি যায় আসে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy