(বাঁ দিক থেকে) সূর্যকান্ত মিশ্র, শুভেন্দু অধিকারী এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের প্রচারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রায়ই ‘হুঁশিয়ারি’ দিচ্ছেন, ২০২৬ সাল পর্যন্ত টিকবেই না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ২০২৪ সালেই তা পড়ে যাবে। সেই একই কথা শোনা গেল সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্রের গলায়। তিনিও দাবি করলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনের আগেই পড়ে যাবে তৃণমূল সরকার। দু’বছর টিকবেই না।’’
সূর্যকান্তের এই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূলও। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সিপিএমের কোনও চিহ্ন নেই চারিদিকে। ওরা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। এ তো শুভেন্দু অধিকারীরই সুরই শোনা যাচ্ছে সূর্যকান্ত মিশ্রের গলায়।’’
শনিবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষের সমর্থনে পান্ডুয়ায় তিন্না থেকে মেলাতলা পর্যন্ত মিছিল করে বাম-কংগ্রেস। সেই মিছিলে হাঁটেন সূর্যকান্ত। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে নানা বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। জেলমুক্তির পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল দাবি করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের ক্ষমতায় এলে মমতাকে জেলে পুরবেন। তা নিয়ে সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘কেজরীওয়াল ঠিকই বলেছে। এই কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই দু’রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল। কারণ, কেজরীওয়ালকে ভয় পায়। ভোটের আগে গ্রেফতার করে তাঁকে প্রচার করতে দেওয়া হবে না, এটাই বিজেপির চাল ছিল। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সিপিএমের পলিটব্যুরো প্রেস বিবৃতি দিয়েছে। ইডি-সিবিআইয়ের খেলা মানুষ ধরে ফেলেছেন।’’
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে শোরগোলের আবহে শনিবার হুগলির ডানলপে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, ‘‘রাজভবনে আমি আর যাব না।’’ সেই প্রসঙ্গেও সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘রাজভবনে ভয় করে কি না জানি না। কালীঘাটে উনি যেখানে আছেন, সেখানে থাকতে পারলে ভাল। মানুষ একদিন কালীঘাটও ঘেরাও করবে। কারণ, এত লোকের টাকা লুট হয়েছে। আসল চাবি তো ওখানেই। একে ওকে ধরছে, কান, চুল ধরে টানছে, মাথাকে ধরছে না। এটা সবাই জানে পশ্চিমবাংলায়।’’ সূর্যকান্তের সংযোজন, ‘‘ওঁকে আমরা কোনও পাত্তাই দিই না। দু’বছর পর বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত উনি টিকবেন না। বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের ঘরোয়া ঝগড়া। ক’দিন আগেই উনি রাজভবনে গিয়ে মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন আর বেরিয়ে এসে বলেছিলেন গপ্প করে এলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy