Advertisement
E-Paper

মমতার বদলে ‘ভাইপো’! কী বলতে চাইলেন সেলিম?

বামেরা ওস্তাদের মার দিয়েছিল সে বার। তাই মমতা নাস্তানাবুদ হয়েছিলেন। এ বার মমতা তেমন কিছু করতে পারেননি। বললেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সেলিমের দাবি, ওস্তাদের মার দিতে পারেননি বলেই বিপদে মমতা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৬ ১৮:০৪

বামেরা ওস্তাদের মার দিয়েছিল সে বার। তাই মমতা নাস্তানাবুদ হয়েছিলেন। এ বার মমতা তেমন কিছু করতে পারেননি। বললেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সেলিমের দাবি, ওস্তাদের মার দিতে পারেননি বলেই বিপদে মমতা।

কোন ওস্তাদের মারের কথা বললেন সেলিম?

জ্যোতি বসুর অবসর এবং রাজ্যপাটে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অভিষেকের প্রসঙ্গ তুললেন সেলিম। প্রশ্ন ছিল, ২০০১ সালে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওয়া তুলেছিলেন খুব। বামেদের হঠিয়ে মমতা ক্ষমতায় বসতে চলেছেন, গুঞ্জন শুরু হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। কিন্তু আশার উড়ান মুখ থুবড়ে পড়ে। কয়েকটা আসন বাড়িয়ে নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে বামেরা। এ বার বাম-কংগ্রেস জোটের পালেও বেশ হাওয়া লেগেছে। জোট নেতাদের দাবি, এই হাওয়া খুব জোরদার। এই হাওয়া জোটের নাওকে ভিড়িয়ে দেবে নবান্নের ঘাটে। কিন্তু শেষমেষ ২০০১ সালের মতো কিছু ঘটবে না তো? সেলিমের চোখেমুখে অদ্ভুত প্রশান্তি। ২০০১ আর ২০১৬-র পরিস্থিতি এক নয়, দাবি রায়গঞ্জের সাংসদের। কেন এক নয়? সেলিমের বাখ্যা, ‘‘বুদ্ধদা (বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) এলেন, জ্যোতিবাবু রিটায়ার করলেন, এটা তো একটা ওস্তাদের মার ছিল সে অর্থে। মমতার ফোকাসটা ছিল অ্যান্টি-জ্যোতি বসু। আক্রমণের লক্ষ্যটা সেখান থেকে আর সরাতে পারেননি মমতা। এ বারে তৃণমূল কংগ্রেস সে রকম কিছু করতে পারেনি।’’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তা হলে কী করা উচিত ছিল? মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘‘যদি এমন হত যে মমতা সরে গিয়ে ভাইপোকে বসিয়ে দিত, যুবরাজকে..., তা হলে না হয় বুঝতাম।’’

তবে মমতার পরাজয়ের ব্যাপারে সেলিমদের নিশ্চিত হওয়ার কারণ নাকি এই একটি মাত্র নয়। আরও আছে। সিপিএম নেতার কথায়, ‘‘গত পাঁচ বছরে রাজ্যের মানুষের উপর যে আক্রমণ নেমে এসেছে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত রাজ্যে তেমন কিছু ছিল না। আমরা সরকারে নীতি বদলাচ্ছিলাম। যাতে রাজ্যে শিল্প আসে তার উপযুক্ত নীতি তৈরি করছিলাম। পার্টির মধ্যে একটা শুদ্ধিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম। ২০০১ সালে তাই মানুষ ভীষণ ভাবে বুদ্ধদার উপর ভরসা রেখেছিলেন।’’

দেখুন ভিডিও:

তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সব ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন মহম্মদ সেলিম। রাজ্যবাসী ক্ষোভে ফুঁসছেন বলে দাবি করলেন। বাম-কংগ্রেস জোট যে উপযুক্ত বিকল্প, জোর দিয়ে সে দাবি করলেন। সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্যের কথায়, ‘‘তলার দিক থেকে উপরে উঠে এসেছে এই জোটের দাবি। কয়েক জন নেতা বসে আলোচনা করে হাতে হাত ধরলেন, তা নয়। যাঁরা আক্রান্ত, যাঁরা প্রতারিত, যাঁরা হতাশ, যাঁরা বঞ্চিত, তাঁরা এই জোট চাইছিলেন। অর্থাৎ তলা থেকে একটা চাপ। এই জোট হওয়ার পর গরিব মানুষ দেখলেন তাঁর ইচ্ছা মর্যাদা পাচ্ছে। মধ্যবিত্ত ঘরে বসে গুমরে মরছিলেন। তৃণমূলের কাণ্ডকারখানা অসহনীয় হয়ে উঠছিল, তাও কিছু বলতে পারছিলেন না। তাঁরাও চাইছিলেন এই সরকারের বিরুদ্ধে সবাই এক হোক। বাম-কংগ্রেস হাত মেলানোয় তাই বাংলার মানুষ মনে করছেন, তাঁদের ইচ্ছাকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।’’

আরও পড়ুন:

নিজেরই বিধানসভা কেন্দ্রের গার্ডেনরিচকে ‘মিনি পাকিস্তান’ বললেন ববি হাকিম

Assembly Election 2016 Mohammad Selim CPIM Leader Exclusive Interview Anjan Bandyopadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy