Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

হুলে এ বার বিদ্ধ অর্জুনও

বিধানসভা ভোটের শেষ পর্বে এসে স্টিং অপারেশনের জেরে সিন্ডিকেট-রাজের অভিযোগে ফেঁসে গেলেন ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক এবং এ বারেরও প্রার্থী অর্জুন সিংহ।

অর্জুন সিংহ

অর্জুন সিংহ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৬ ০৪:০৪
Share: Save:

বিধানসভা ভোটের শেষ পর্বে এসে স্টিং অপারেশনের জেরে সিন্ডিকেট-রাজের অভিযোগে ফেঁসে গেলেন ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক এবং এ বারেরও প্রার্থী অর্জুন সিংহ।

বিধানসভা ভোটের সময়েই পশ্চিমবঙ্গের সিন্ডিকেট-রাজ নিয়ে একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলের করা স্টিং অপারেশনে নাম জড়িয়েছিল বিধাননগরের মেয়র এবং নিউটাউনের তৃণমূল প্রার্থী সব্যসাচী দত্তের। সেই বিতর্কের রেশ মিটতে না মিটতেই আর একটি সর্বভারতীয় সংবাদ চ্যানেলের করা স্টিং-ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে বুধবার। যেখানে ওই চ্যানেলের তরফে কয়েক জন অর্জুনের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের বহুজাতিক সংস্থার প্রতিনিধি বলে পরিচয় দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিউ টাউনে জমি কিনে অফিস তৈরি করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। তাঁদের উদ্দেশ্য পূরণের আশ্বাস দিচ্ছেন অর্জুনও। তবে এই ফুটেজ প্রকাশের সময় অর্জুনের কেন্দ্রে ভোট মিটে গিয়েছে।

ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার সহ সভাপতি শিবু ইসলাম, কাউন্সিলর নিমাই ঘোষ, যুব নেতা কনিষ্ক মজুমদার এবং জিয়ার— সকলেই ওই সংস্থার প্রতিনিধিদের বলছেন, যে কোনও নির্মাণ কাজ করতে হলে সিন্ডিকেট ছাড়া গতি নেই। অন্য কাউকে দিয়ে কাজ করাতে হলে সমস্যা হবে। আবার অর্জুন বলছেন, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে কাজটা হয়। কারা কী ভাবে সাহায্য করবে, সেটা তাদের ব্যাপার। এই জায়গাটা অন্তত মুম্বইয়ের মতো নয়। সেখানে কাজ হোক বা না হোক, টাকা দিতেই হয়। এখানে সে রকম নয়। এ ব্যাপারে ভোটের পর কথা হবে।

অর্জুন ওই ফুটেজে আরও বলেছেন, ভোটের ফল বেরনোর পরে কাজ শুরু করতে হবে। যিনি জিতবেন, তাঁর সঙ্গে ওই সংস্থার প্রতিনিধিদের তিনি আলাপ করিয়ে দেবেন। তাতেই কাজ হয়ে যাবে। ফুটেজের সত্যতা আনন্দবাজারের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

অর্জুনের প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁকে ফোন করা হলে দেখা যায় তাঁর মোবাইল সুইচ অফ রয়েছে। কলকাতার পুর কমিশনার খলিল আহমেদও ওই স্টিং ফুটেজে রয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, তিনি বলছেন, সিন্ডিকেটের লোকেরা বেশি দাম নেয় এবং খারাপ মাল দেয়। কিন্তু তাদের দিয়েই কাজ করাতে হয়। খলিলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি ওঁদের বলেছিলাম, সিন্ডিকেট নিয়ে আপনারা কাগজে যা পড়ছেন, আমিও তা-ই পড়ছি। তখন তাঁরা জানতে চান, কোন নেতার কাছে গেলে সিন্ডিকেট নিয়ে জানতে পারব? তখন আমি বলি, আমার কোনও নেতার সঙ্গে আলাপ নেই।’’

এ দিন ওই ফুটেজ হাতিয়ার করে ফের আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে তারা। বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘ওই ফুটেজেই দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের যুব নেতা হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের কথা বলছেন। ১৯ মে-র আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্বেতপত্র দিয়ে জানাতে হবে, কত টাকা তৃণমূলের নেতারা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

assembly election 2016 TMC Narada
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE