Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

Bengal Polls: বাংলা ছাড়লেন করোনায় আক্রান্ত দুই পর্যবেক্ষক

পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি ও জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্রে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন অভয় এ মহাজন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২১ ০৫:৩৬
Share: Save:

প্রতিষেধক নিয়েই তাঁরা বঙ্গ বিধানসভার ভোটে কাজ করতে এসেছিলেন। কিন্তু কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ফিরে গিয়েছেন এক মহিলা-সহ নির্বাচন কমিশনের দুই পর্যবেক্ষক। তাদের প্রতিনিধিরাও রাজ্যে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের কবলে পড়ায় কমিশন চিন্তিত। বিশেষত প্রতিষেধক নেওয়া সত্ত্বেও এ ভাবে অফিসারদের সংক্রমণের বিষয়টি কমিশন-কর্তাদের চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ওই দুই পর্যবেক্ষকের মধ্যে এক জনের সঙ্গে সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে দেখা হয়েছিল বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের। কলকাতায় আসার আগেই তিনি প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় নিয়েছিলেন। শুক্রবার কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতাল থেকে দ্বিতীয় ডোজ়ও নিয়ে নিয়েছেন।

কমিশন এ বার বাংলার ভোটে পর্যবেক্ষকের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, ভোটের কাজে পাঠানোর আগে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সব পর্যবেক্ষকের জন্য প্রতিষেধকের ব্যবস্থা করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তার পরেও ভিন্‌ রাজ্য থেকে পুরুলিয়া ও কোচবিহারে আসা দু’জন পর্যবেক্ষক কোভিডে আক্রান্ত হন। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের কর্তব্য থেকে অব্যাহতি দিতে হয়েছে বলে কমিশন সূত্রের খবর।

পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি ও জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্রে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন অভয় এ মহাজন। সপ্তাহ দুয়েক আগে তাঁর কোভিড ধরা পড়ে। জেলা প্রশাসনিক সূত্রের খবর, তাঁকে নিভৃতবাসে রেখে চিকিৎসা করা হয়। কয়েক দিন আগে তাঁর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোচবিহার জেলায় এসেছিলেন এক মহিলা পর্যবেক্ষক। দিনহাটায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল, সেই সময় পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন তিনিই। পরে রিপোর্ট আসে, তিনিও কোভিড পজ়িটিভ। তবে তাঁর কোনও উপসর্গ ছিল না। তাঁর সবিস্তার পরিচয় জানানো হয়নি। তবে কোচবিহার জেলা প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, আপাতত তিনি নিভৃতবাসেই আছেন। তাঁর উপরে ন্যস্ত দায়দায়িত্ব অন্য পর্যবেক্ষককে দেওয়া হয়েছে।

ভোট-কর্তাদের অনেকেরই বক্তব্য, সাধারণ ভাবে প্রবল ভিড়ের মধ্যে পর্যবেক্ষকদের থাকতে হয়
না। কোথাও কোনও অভিযোগ থাকলে তাঁরা যান অথবা ভোট-প্রস্তুতিতে নজর রাখেন। তবে এ বারের ভোটে সাধারণ ও পুলিশ পর্যবেক্ষকের
দায়িত্ব বেড়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রেও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে হচ্ছে তাঁদের। ফলে কোথায় কার থেকে ওই দুই পর্যবেক্ষক সংক্রমিত হলেন, তা নিয়ে রীতিমতো ধন্দে প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকেই। “সাধারণ নিয়মে সব পর্যবেক্ষকেরই প্রতিষেধক নিয়ে ভোটের ডিউটিতে আসার কথা। সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে তা হয়ে থাকলে বিষয়টি বেশ চিন্তার,” বলেন এক প্রশাসনিক কর্তা।

এই অবস্থায় কোভিড-বিধি কঠোর ভাবে মেনে চলার জন্য রাজ্য প্রশাসন এবং কমিশনের তরফে ফের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। গত দু’দফার ভোটে অতিমারির নিয়মবিধি একশো ভাগ মান্যতা পেয়েছে, এমন দাবি করতে পারছেন না ভোট-কর্তারা। তাই তাঁদের বক্তব্য, নিজের সুস্থতার স্বার্থেই পারস্পরিক দূরত্ব-বিধি, মাস্ক পরা এবং হাতশুদ্ধির ব্যবহার মেনে চলা জরুরি। পরের দফার ভোটে যাতে কোভিড-বিধি যথাযথ ভাবে মেনে চলা হয়, জেলা প্রশাসনগুলিকে সেই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE