Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘সততার প্রতীককে দেখে সততা শব্দটাকেই সন্দেহ করছেন মানুষ’

শোনা যাচ্ছিল, তিনি বাম-কংগ্রেস জোটের বিরোধী ছিলেন। দীপা দাশমুন্সি কিন্তু সে তত্ত্ব পত্রপাঠ নস্যাৎ করে দিলেন। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপা নিজের অবস্থানের স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিলেন। জানালেন, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেসের যা হাল হয়েছিল, তাতে এ বার জোট করার আগে খুব সতর্ক থাকার দরকার ছিল। কিন্তু বাম-কংগ্রেস জোটের বিরোধী তিনি ছিলেন না মোটেই। দীপার কথায়, ‘‘মানুষের চেয়েছেন বলেই আমাদের এক জায়গায় আসতে হয়েছে। এর বিরোধিতা করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’’

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৬ ১০:৩০
Share: Save:

শোনা যাচ্ছিল, তিনি বাম-কংগ্রেস জোটের বিরোধী ছিলেন। দীপা দাশমুন্সি কিন্তু সে তত্ত্ব পত্রপাঠ নস্যাৎ করে দিলেন। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপা নিজের অবস্থানের স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিলেন। জানালেন, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেসের যা হাল হয়েছিল, তাতে এ বার জোট করার আগে খুব সতর্ক থাকার দরকার ছিল। কিন্তু বাম-কংগ্রেস জোটের বিরোধী তিনি ছিলেন না মোটেই। দীপার কথায়, ‘‘মানুষের চেয়েছেন বলেই আমাদের এক জায়গায় আসতে হয়েছে। এর বিরোধিতা করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’’

তাঁর তৃণমূল বিরোধী অবস্থান বরাবরই সুবিদিত। তৃণমূলের সঙ্গে ২০১১ সালে কংগ্রেসের জোটে দীপা দাশমুন্সি সন্তুষ্ট ছিলেন, এমন কথা তাঁর ঘোর নিন্দুকও বলবেন না। তৃণমূলের সঙ্গে যে শর্তে জোট হয়েছিল, তাতে যে কংগ্রেস লাভবান হবে না, দীপা দাশমুন্সির সেই তত্ত্ব পরবর্তী কালে অনেকটাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

দেখুন সেই সাক্ষাত্কারের ভিডিও

কংগ্রেস আর তৃণমূলের সেই জোট তিন-চার বছর আগেই অতীতের খাতায় চলে গিয়েছে। কিন্তু জোটের ক্ষত এখনও তাজা কংগ্রেস নেত্রীর মনে। বললেন, ‘‘বার বার বলেছিলাম সম্মানজনক শর্তে জোট হোক। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে সে সময় আমাদের বোঝাপড়া এত তাড়াহুড়ো করে হয়েছিল যে আমরা যা চেয়েছিলাম, তা একেবারেই পাইনি।’’ এ বার বামেদের সঙ্গে সমঝোতার আগে তাই দীপা দাশমুন্সির দাবি ছিল, দেওয়া-নেওয়ার হিসেবটা বুঝে নিয়ে, তবেই এগনো হোক জোটের পথে।

আরও পড়ুন
ভবানীপুরে হারছেন ‘হিটলার’, জিতছেন ‘আগুনপাখি’: দীপা

তৃণমূলকে দীপা বিঁধছেন ঝাঁঝালো শব্দে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম মুখেই আনছেন না এক বারও। বললেন, ‘‘যিনি সততার প্রতীক নাম নিয়ে ঢাক বাজিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন, তাঁকে দেখে এখন সততা শব্দটা সম্পর্কেই মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।’’ দীপার কথায় ‘‘রাস্তার মোড়ে মোড়ে যতই রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানো হোক, পাড়ার মোড়ে মোড়ে এখন তৃণমূলের সমবেত ঘুষ সঙ্গীত শুরু হয়ে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE