বিচারের দাবিতে মিছিল। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বের সভ্য দেশগুলো ইতিমধ্যেই যেটা প্রমাণ করেছে, এ বার সেটা প্রমাণ করার পালা ভারতের। ধনী অথবা নির্ধন, ক্ষমতাবান অথবা ক্ষমতাহীন, তুমি যে-ই হও না কেন আইনের চোখে সবাই সমান।
লজ্জার বিষয়, ভারতে এই নীতির কণামাত্র রূপায়িত হয়নি। আর হয়নি বলেই, বিহারে অক্লেশে নিরীহ ছাত্রের মাথায় গুলি করতে পারে বিধায়কের বখে যাওয়া পুত্র, তন্দুরে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিয়েও বছরের পর বছর নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ায় দিল্লির পরাক্রমশালী দুর্বৃত্ত, কলকাতায় সেনা মহড়ার ওপর বিলাসবহুল মদ্যপ গাড়ি চালিয়ে দিয়েও আইনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে রাজনীতিকের সন্তান। বেআদব যে বেয়াড়াপনা করবে এতে অভিনবত্ব কিছু নেই। অভিনবত্ব যেখানে আছে, সেটা হল ব্যক্তি এবং ক্ষেত্র বিশেষে আইনের অন্ধ ব্যবহার। আমাদের এ দেশ বহু বছর ধরে তার সাক্ষী।
রাজনৈতিক আনুগত্য থেকে মুক্ত হতে পারলে পুলিশ যে কী করতে পারে তার নমুনা সম্প্রতি দেখেছে পশ্চিমবঙ্গ। নির্বাচন কমিশন নামে সাংবিধানিক এক সংস্থার অধীনে কাজ করার ওই কল্প কাহিনী তো মাত্র কয়েক দিনের। পরেই তো আবার পুলিশ প্রশাসন ফেরে পুরনো সেই রিঙে। যে রিং শাসন করছে রাজনৈতিক দলগুলো। অতএব আরও অনেক গুলি এফোঁড়-ওফোঁড় হবে, অনেক মাতাল গাড়ি পিষে দিয়ে যাবে ফুটপাথবাসীকে। জগৎময় চলবে অর্থ এবং ক্ষমতার খেলা এবং এই বিরাট দেশের নিরীহ প্রান্তিক মানুষ দিনের শেষে শুধু এই ভেবেই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাবেন, আরও একটা দিন কাটিয়ে দেওয়া গেল। বেঘোরে প্রাণ গেল না আরও একটা দিন।
সভ্য দেশের নাগরিকরা এই ভাবনাটা ভাবেন না। আমরা কবে সভ্য হব?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy