সেরামিক অর্থাৎ চিনামাটির সাহায্যে অন্দরসজ্জার কথা অজানা নয়। একই সঙ্গে প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্যও ওই বিশেষ সামগ্রী সমান ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই যাঁরা সেরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা সেরামিক টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করছেন, তাঁদের কাছে প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশ বিভাগে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
কেমন সুযোগ?
জেট ইঞ্জিন, মিসাইল এবং রকেট যে ধরনের ধাতু দিয়ে তৈরি হয়, তা উচ্চ তাপমাত্রায় গলে যেতে পারে। তাই এই ধরনের যন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে হাই টেম্পারেচার সেরামিক্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও ওই যন্ত্রগুলি সুরক্ষিত থাকতে পারে। এই সমস্ত যন্ত্র তৈরি করার জন্য সেরামিক স্পেশ্যালিস্ট প্রয়োজন হয়ে থাকে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা বর্ম এবং কবচ তৈরির জন্যও সেরামিক ব্যবহার করা হয়। সেই কাজের জন্য সেরামিক ইঞ্জিনিয়ার কিংবা টেকনোলজিস্টের চাহিদা রয়েছে যথেষ্ট।
কারা নিয়োগ করে?
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন (ডিআরডিও), ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজ়েশন (ইসরো), হিন্দুস্থান এরোনটিক্স লিমিটেড-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় নিয়মিত ভাবে ওই বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর যোগ্যতা সম্পন্নদের নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
আরও কোন কোন বিভাগে রয়েছে সুযোগ?
ঘর সাজানোর জন্য টাইল্স, ইটের মতো একাধিক সামগ্রী সেরামিকের সাহায্যে তৈরি করা হয়ে থাকে। দেশের সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় ওই কাজের জন্য স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর যোগ্যতা সম্পন্নদের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া গ্লাস এবং সিমেন্ট প্রস্তুতকারক সংস্থাতেও সেরামিক ইঞ্জিনিয়ার কিংবা টেকনোলজিস্ট হিসাবে চাকরি করতে পারেন।
বেতন:
স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পরে চাকরি পেলে বার্ষিক আয় ২ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি ডিগ্রিপ্রাপ্তদের জন্য ওই বেতনক্রম ৮ লক্ষ থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়। অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি পেলে বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি আয় করার সুযোগ রয়েছে।