অলকা ইয়াগ্নিক। ছবি: সংগৃহীত।
আমির খান নাকি ফিল্ম মেকিংয়ের সব বিষয়েই নাক গলান। নিন্দুকেরা বলেন, স্ক্রিপ্ট থেকে শুরু করে ফিল্মের গান, অ্যাকশন সিকোয়েন্স, মায় পরিচালনা— সব কিছু নিয়েই আমিরের খুঁতখুঁতে ভাব। তাই সব বিষয়েই নাকি ‘আমিরি-মত’ শুনতে হয় প্রযোজকদের। তা এ স্বভাব নাকি তাঁর বহু কালের। কেরিয়ারের শুরুর দিকেও আমির এ রকম ছিলেন। তার জন্যই নাকি এক বার ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন অলকা ইয়াগ্নিক।
ঠিক কি হয়েছিল?
তখন ‘গজব কা ইয়ে দিন’ গানের রিহার্সাল চলছে। সে গানে লিপ দেবেন আনকোরা নায়ক। ফাইনাল রেকর্ডিংয়ের আগে শেষ বার গানের সুর ঝালিয়ে নিচ্ছেন অলকা ইয়াগ্নিক। উদিত নারায়ণের সঙ্গে ডুয়েট। আর কিছু ক্ষণ পরেই রেকর্ডিং শুরু। হঠাৎ অলকার চোখে পড়ল, ঘরের এক কোণে বসে রয়েছেন একটি রোগাপাতলা হ্যান্ডসাম যুবক। তাঁর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে। প্রথমটাই বেশি পাত্তা দেননি। রেকর্ডিং শুরু হতেই ফের চোখ পড়ল অলকার। তখনও একদৃষ্টিতে অলকার দিকে তাকিয়ে ওই যুবক। এ বার বেশ অস্বস্তিই হল তাঁর। রেগেমেগে তাঁকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কপিলকে ছেঁটে সুনীলের শো আনতে চলেছে সোনি?
সম্প্রতি এ কথা জানিয়ে অলকা বলেন, “গান গাওয়ার সময় কেউ যদি আপনার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন, তবে অসুবিধা হবে না! আমার তো বেশ বিরক্ত লাগে। তা ওঁকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলি।” রেকর্ডিং শেষ হতেই ‘কায়ামত সে কায়ামত তক’-এর পরিচালক মনসুর খান ডেকে পাঠান অলকাকে। বলেন, “আসুন ফিল্মের নায়কের সঙ্গে আপনার পরিচয় করিয়ে দিই।” অলকা তো তখন এক্কেবারে অবাক! সামনে দাঁড়িয়ে সেই রোগাপাতলা হ্যান্ডসাম যুবকটি। ফিল্মের নায়ক। আমির খান। আশির দশকের শেষ দিকে সেই সুপার-ডুপার হিট ‘কায়ামত সে কায়ামত তক’ দিয়েই বলিউডে প্রবেশ আমিরের। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তবে সে দিন সেই আনকোরা আমিরকেই ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন অলকা। একটি টেলিভিশন শো-তে সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এখনও আমিরের সঙ্গে দেখা হলে সে দিনের কথা মনে করে হাসাহাসি করি আমরা।”
‘কায়ামত সে কায়ামত তক’-এ আমির খান। ছবি: সংগৃহীত।
আসলে আমির এ রকমই। যে কাজ করবেন, তা নিখুঁত করতে একশো শতাংশ মনোযোগ দেবেন, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখবেন, বুঝবেন। এই খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য এখনও বেশ চাপেই থাকতে হয় তাঁর সহকর্মীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy