ভাই-বোন বা ভাই-ভাই, দু’জনেই বলিউডে কাজ করছেন, এমন নজির প্রচুর। এই পরিবারতন্ত্রের কারণে সাফল্যও পেয়েছেন বহু তারকা। যদিও ‘কাশ্যপ ব্রাদার্স’দের বিষয়টা ভিন্ন। অনুরাগ কাশ্যপ ও অভিনব কাশ্যপ দুই ভাই। পেশায় দু’জনেই পরিচালক। তবে ভাব নেই তাঁদের। দাদা অনুরাগ, ছোট ভাই অভিনবকে রীতিমতো মানসিক রোগী বলে দাগিয়ে দেন। এ বার অনুরাগের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ অভিনবের।
আরও পড়ুন:
বলিউডে দীর্ঘ সময় কাটানোর পর এক শ্রেণির দর্শকের কাছে সফল পরিচালকের তকমা পেয়েছেন অনুরাগ। অন্যদিকে রয়েছেন তাঁর ভাই অভিনব। তাঁর প্রথম ছবি ‘দবং’। প্রথম ছবিতেই বিপুল সাফল্য পান অভিনেতা। কিন্তু, তাঁর যেমন ধুমকেতূর মতো উত্থান, তেমনই তাড়াতাড়ি পতন। নিজের ব্যর্থতার জন্য তিনি বার বার দায়ী করেছেন সলমন খানকে। তাঁর পরিবারকে নিয়ে নানা কুমন্তব্য করেছেন অভিনেতা। এ বার জানালেন তাঁর দাদা অনুরাগ নাকি কথায় কথায় মারধর করতেন তাঁকে। যদিও সম্পর্কের খাতিরে পাল্টা অনুরাগের গায়ে কখনও হাত তুলতে পারেননি অভিনব, দাবি তাঁর।
অভিনব বলেন, ‘‘আমি আর অনুরাগ ছিলাম হরিহর আত্মা। আমাদের বাবা-মায়ের থেকেও আমরা একে অন্যকে বেশি চিনি। এক স্কুলে পড়াশোনা, তার পর দিল্লিতে এক কলেজ থেকে স্নাতক পাশ, মুম্বইও এসেছিলাম একসঙ্গে। তবে পরে আমাকে ও কেন মানসিক রোগী বলল জানি না। একটা সময় কথায় কথায় গায়ে হাত তুলত। কিন্তু আমি কখনও পাল্টা মারিনি। কারণ আমি ওর থেকে সম্পর্কে ছোট।’’ এত কিছুর পরেও নাকি অনুরাগকে বাড়ি ফেরার অনুরোধ করেছেন অভিনব। কারণ তাঁদের মা বড়ছেলের পথ চেয়ে বসে রয়েছেন। অভিনব বলেন, ‘‘মা ওর বাসনপত্র-জুতো সব সাজিয়ে বসে রয়েছে। বহু বার বলেছি, ওর জিনিস নিয়ে যাক। কিন্তু আসেনি।’’