“ছেলে কেশবকে ভিডিয়োয় দেখিয়েই তো বাড়িতে হাঁড়ি চড়ে আপনাদের!”— এমনই একের পর এক নানা মন্তব্যে ভরে গিয়েছে অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামী এবং রাজা গোস্বামীর সমাজমাধ্যমের পাতা। ছেলেই এখন সব। তাই ক্যামেরার সামনে আর সে ভাবে দেখা যায় না মধুবনীকে। অনেক ধরনের ব্যবসাও সামলাতে হয়। ভ্লগিং –এর সঙ্গে সঙ্গে সালোঁর ব্যবসাও রয়েছে তাঁর। অন্য দিকে, রাজা যদিও পুরোদমে ধারাবাহিকে অভিনয় করে চলেছেন। এর মধ্যে দর্শকদের মন্তব্যে বিরক্ত যুগল। জবাব দিতেই পোস্ট করলেন নিজেদের মাধ্যমিকের রেজ়াল্ট। এত গুরুত্বপূর্ণ নথি কেন সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নিলেন তাঁরা?

ফেসবুকে পোস্ট করলেন মাধ্যমিকের মার্কশিট। ছবি: ফেসবুক।
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কমকে মধুবনী জানিয়েছেন, কিছু লোকের নেতিবাচক মন্তব্য পড়তে পড়তে তিনি বিরক্ত। তাই তাঁরা দু’জনেই নিজেদের দশম শ্রেণির ফল সবাইকে এই ভাবে জানাতে বাধ্য হলেন। মধুবনী বলেন, “অনেকে ভাবছেন আমরা রেগে আছি। কিন্তু তা নয়। সবাই নন, কিছু কিছু মানুষ এমন জঘন্য মন্তব্য করেন। তাঁদের চুপ করানোর জন্য এই পদক্ষেপ। অনেকে লিখেছেন, ভ্লগ করেই তো খেতে হবে, আর তো কোনও যোগ্যতা নেই।” অভিনয় বা ভ্লগিং— নিজেদের কাজ নিয়ে তাঁরা গর্বিত। অভিনেত্রী বললেন, “নেতিবাচক মন্তব্য যাঁরা করেন তাঁদের চুপ করানোর জন্যই এই পোস্ট করেছি।” মাধ্যমিকে ভাল নম্বর পেয়েই পাশ করেছিলেন দু’জনে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে রাজার করা একটি মন্তব্যে তোলপাড় নেটপাড়া। তিনি লিখেছিলেন, মাধ্যমিকে তিনি ‘স্টার’ পেয়েছিলেন, কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন। তখন নাকি অনেকেই তাঁকে বলেছিলেন, “এই ছেলের আর কিছু হবে না।”
তবে লোকের কথায় কান না দিয়ে নিজের কাজ করে গিয়েছেন। তাতেই সফল তিনি। সিনেমা যে খুব বেশি করছেন, তেমনটা নয়। তাঁর আয়ের একটা বড় অংশই ধারাবাহিক থেকে। তাতেই ঘটে রাজার জীবনে ‘ম্যাজিক’। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সেকেন্ড ডিভিশন পেয়েও কলকাতা শহরের বুকে একের পর এক সম্পত্তি গড়ে তৃপ্ত রাজা!