বেফাঁস মন্তব্য করে ফের বিতর্কে ‘গান্ধী গডসে: এক যুদ্ধ’-এর পরিচালক। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ ৯ বছর পরে পরিচালনার কাজে ফিরছেন রাজকুমার সন্তোষী। কামব্যাক ছবি ‘গান্ধী গডসে: এক যুদ্ধ’ ছবি মুক্তির আগেই তুঙ্গে বিতর্ক। সেই বিতর্কের আগুনে এ বার ঘি ঢাললেন পরিচালক স্বয়ং। ‘‘কাপুরুষতা নয়, হিংসা বেছে নেব’’, পরিচালক রাজকুমার সন্তোষীর মন্তব্যে ফের বিতর্কের ঝড় সমাজমাধ্যমে।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পায় ভারত। পরের বছর ১৯৪৮ সালে ৩০ জানুয়ারি গুলি করে মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করেন নাথুরাম গডসে। ‘গান্ধী গডসে: এক যুদ্ধ’ ছবিতে এক সমান্তরাল বাস্তবতার ছবি আঁকতে চেয়েছেন পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী। যদি নাথুরাম গডসের গুলিতে গান্ধীজির মৃত্যু না হত, তা হলে কী ঘটতে পারত? এই প্রশ্ন মাথায় রেখেই তৈরি ‘গান্ধী গডসে: এক যুদ্ধ’ ছবিটি, জানান পরিচালক রাজকুমার। ‘‘মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে বিশ্বাস করি। তবে কাপুরুষতা ও হিংসার মধ্যে নির্বাচন করতে হলে হিংসাকেই বেছে নেব।’’ মন্তব্য করেন পরিচালক। এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের ঝড় সমাজমাধ্যমে। যদিও পরে তিনি আরও বলেন, ‘‘অহিংসা আর কাপুরুষতা এক নয়। অনেকেই কাপুরুষতাকেই অহিংসা বলে মনে করেন।’’ ব্যাখ্যা করেন ‘দামিনী’ খ্যাত পরিচালক। ছবিতে গান্ধীজি ও গডসেকে চেনা ছকের বাইরে গিয়ে নতুন আলোতে দেখাতে চেয়েছেন বলে দাবি তাঁর। ‘‘সব মানুষের মতো গান্ধীজিরও যে ত্রুটি ছিল, ছবি দেখলেই তা বোঝা যাবে’’, জানান পরিচালক। গডসে ও গান্ধীর পরস্পর-বিরোধী আদর্শের প্রতিফলন থাকলেও কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগের বশে তৈরি নয় এই ছবি, মন্তব্য ‘আজব প্রেম কি গজব কহানি’র পরিচালকের।
মুক্তির আগেই একাধিক বার বিতর্কের মুখে পড়েছে ‘গান্ধী গডসে: এক যুদ্ধ’। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে। অথচ এই ছবিতে তাঁরই গুণগান গাওয়া হয়েছে— এই অভিযোগে মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন প্রেক্ষাগৃহে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এক দল দর্শক। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। পরিচালক রাজকুমার সন্তোষীর মন্তব্যে ফের শিরোনামে উঠে এল গান্ধী-গডসে বিতর্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy