সেলেব্রিটিদের এয়ারপোর্ট লুক নিয়ে তো নিত্য দিন চর্চা। সেখানে পাপারাৎজ়ির সামনে তাঁদের পিএডএ-ও বহুচর্চিত। কিন্তু যখন এঁরা ভিআইপি গেটের ভিতর দিয়ে ক্যামেরার আড়ালে চলে যান, তখন? বিমানবন্দর কর্মীরা এই সব বলিউড সেলেবদের খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেন। তাঁদের কাছ থেকে জানা গেল বহু অজানা গল্প...
জবরদস্ত জোড়ি
রণবীর সিংহ-দীপিকা পাড়ুকোনকে এক কথায় এই তকমা দেওয়া যায়। রণবীর আমজনতার সঙ্গে মিশে যেতে পারেন সহজেই। সেলফির আবদার মেটাতে বিরাম নেই তাঁর। যদি বুঝতে পারেন, কেউ ছবি তোলায় ইতস্তত করছেন, তা হলে নিজেই উদ্যোগী হন। আর দীপিকা পাড়ুকোন? রণবীরের পাগলামিতে যে গিন্নির সায় আছে, তা-ও স্পষ্ট। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দীপিকা পাশে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসেন। ক্যামেরার সামনে তাঁদের রসায়ন যেমন, পিছনেও তাই। সিকিয়োরিটি চেকিংয়ে এক জনের সময় লাগলে অন্য জন অপেক্ষা করেন। নিউলি ওয়েড কাপল বিমানবন্দরের লাউঞ্জ এবং ফ্লাইটেও নিজেদের নিয়েই মগ্ন!
আর এক দম্পতিও নিজেদের নিয়ে মশগুল। কাজল ও অজয় দেবগণ। বিয়ের কুড়ি বছর পরেও তাঁদের রোম্যান্সে ভাটা পড়েনি। আবার নতুন কাপল আলিয়া ভট্ট এবং রণবীর কপূরের মধ্যে আলিয়াই বেশি ছেলেমানুষি করেন। রণবীর তুলনায় চুপচাপ।
সবার উপরে আমি সত্য
বেশি দিন হয়নি এঁদের বিয়ে হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ছবি দেখলে মনে হবে, এক দুজে কে লিয়ে। কিন্তু বাস্তব অতটা সহজ নয়। এই বিখ্যাত দম্পতির ছবি তুলতে গেলে হাসিমুখে পোজ় দেওয়া তো দূর, বরং বিরক্তই হন। এয়ারপোর্টের ভিআইপি লাউঞ্জের গল্প শুনলে এঁদের রসায়ন নিয়ে প্রশ্ন জাগে! তাঁরা নিজেদের মধ্যে কথা তো বলেনই না, এক জনের সিকিয়োরিটি চেকিং হয়ে গেলে অন্য জনের জন্য নাকি অপেক্ষাও করেন না। বিমানবন্দর কর্মীদের সঙ্গেও তাঁদের ব্যবহার সুবিধের নয়। কর্তা নাকি বরাবরই এমন। গিন্নিও নিস্পৃহ। বিমানের ভিতরে যে যাঁর মতো। সোশ্যাল মিডিয়ার রসায়নের ছিটেফোঁটাও সেখানে নেই!
একই আচরণ করিনা কপূর খান এবং সেফ আলি খানেরও। তাঁদেরও ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে তাঁরা নিজেদের মধ্যে বেশ অন্তরঙ্গ।
ভদ্রলোকের এক কথা
সবচেয়ে পরিশীলিত ব্যক্তিত্বের তকমা পাবেন অক্ষয়কুমার। ট্রাউজ়ার্সের একটা পা খানিক গুটিয়ে নিজস্ব স্টাইলে যখন তিনি বিমানবন্দরে আসেন, তখন সকলের সম্ভ্রম আদায় করে নেন। ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে পোজ় দেন। বিমানবন্দর কর্মীদের সঙ্গেও তাঁর ব্যবহার শিক্ষণীয়। অক্ষয় নিজের লাগেজ কাউকে বইতেও দেন না।
আমির খানও সকলের সঙ্গে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করে থাকেন। ছেলে আজ়াদকে নিয়ে তিনি নিয়মিত ট্রাভেল করেন। সারাক্ষণই ছেলের সঙ্গে খুনসুটি করতে থাকেন আমির। কখনও আবার ‘তারে জ়মিন পর’-এর নিকুম্ভ স্যরের মতো ছেলেকে অনেক জিনিস দেখিয়ে গল্পের মাধ্যমে তাকে শেখানোর চেষ্টা করেন। আমিরপত্নী কিরণ রাও অবশ্য নিজের মতোই থাকেন।
তারা অধরাই
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বলয় তাঁদের ঘিরে। কোথাও যাওয়ার সময়ে নিরাপত্তারক্ষী এবং শাহরুখ খান বা সলমন খানের নিজস্ব টিম তাঁদের সঙ্গে থাকে। সুতরাং তাঁরা কেমন আচরণ করছেন, সেটা বোঝা যায় না। তবে শাহরুখ এমনিতে খুব ভদ্র। সেলফি, অটোগ্রাফের আবদার এলে তিনি নিরাশ করেন না। সলমন আবার মুড অনুযায়ী ব্যবহার করেন।
দ্য বচ্চনস
জনপ্রিয়তার নিরিখে তিনি এখনও শীর্ষে। অমিতাভ বচ্চনকে দেখার জন্য এয়ারপোর্টে উৎসাহীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অমিতাভের ব্যবহারও খুব অমায়িক। তবে স্ত্রী জয়া সঙ্গে থাকলে তিনিই নাকি ভিড় সামলানোর দায়িত্বটা নিয়ে নেন! অভিষেক-ঐশ্বর্যা নিজেদের মধ্যে টুকটাক কথাবার্তা বলতে থাকেন। তবে তাঁরা সপরিবার কোথাও গেলে সেই সমীকরণ একেবারেই আলাদা। বউমার সঙ্গে শাশুড়ির সম্পর্ক যে মধুর নয়, তা বেশ বোঝা যায়। দু’জনের মাঝে হয় অমিতাভ, নয় অভিষেক থাকেন হাইফেনের মতো!
সুতরাং পর্দার মতো ব্যক্তিগত পরিধিতেও সেলেব্রিটিদের জীবনে ক্যামেরা অন আর অফ চলতে থাকে নিত্য দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy