অল্প বয়সেই মাথার উপর থেকে অভিভাবকের ছায়া সরে যাওয়ায় অরশদের জীবনযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ১৭ বছর বয়সে বাড়ি বাড়ি প্রসাধনী বিক্রি করে উপার্জন আরম্ভ করেন। এর পর কিছু দিন কাজ করেন ফটো স্টুডিয়োর ল্যাবরেটরিতে। জর্জরিত জীবনের একমাত্র আনন্দ ছিল হিন্দি সিনেমা। বিশেষ করে সিনেমার দৃশ্যে নাচ দেখতে খুব ভালবাসতেন। যে কোনও নাচ চটজলদি তুলেও ফেলতেন।
পুরস্কারমূল্য দিয়ে নিজের একটি ডান্স স্টুডিয়ো এবং নাচের দল শুরু করেন তিনি। ১৯৯৩ সালে কোরিয়োগ্রাফি করেন ‘রূপ কি রানি চোরোঁ কা রাজা’-র টাইটেল ট্র্যাকের। এই সময়ে তাঁকে অভিনয়ের সুযোগ দেন জয়া বচ্চন। পরে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তাঁর কেরিয়ার তৈরির পিছনে জয়ার অবদানের কথা। বরাবর তাঁকে কেরিয়ারের পথে সাহায্য করেছেন জয়া।
তবে হিন্দি ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি যে বেশি ব্যবহৃত হননি, সে প্রসঙ্গে সহমত নাসিরুদ্দিন শাহ, বিদ্যা বালন, বোমান ইরানি-সহ বহু নামী অভিনেতা। তাঁরা মনে করেন, অরশদের প্রতিভাকে সে ভাবে কাজে লাগাতে পারেননি পরিচালকরা। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি যে নাচের দিক দিয়েও জুড়িহীন, সে কথাও স্বীকার করেছেন ইন্ডাস্ট্রির বহু নামী ব্যক্তিত্বই।
দু’জনে দু’জনের সঙ্গ উপভোগ করার পরে এক দিন মারিয়াকে প্রোপোজ করেন অরশদ। কিন্তু উত্তরে মারিয়া প্রত্যাখ্যান করেন তাঁর প্রেম। অরশদ বুঝতে পারছিলেন মারিয়া তাঁকে ভালবাসেন। কিন্তু মুখে স্বীকার করছেন না। সেটা করানোর জন্য বুদ্ধি বার করলেন অরশদ। দুবাইয়ে নাচের শো করতে গিয়ে সুযোগ বুঝে মারিয়ার ঠান্ডা পানীয়ে সামান্য বিয়ার মিশিয়ে দিলেন।
তবে সুখী দাম্পত্যের সুরও এক বার কেটেছিল। সে বার অরশদ নিজের প্রোডাকশন হাউস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কাজের চাপে সময় দিতে পারছিলেন না পরিবারকে। এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল দাম্পত্য বিবাদ। প্রায় ৯ মাস টানাপড়েন অবশেষে মিটে যায়। অরশদ ঠিক করেছেন আপাতত আর ছবি প্রযোজনা নয়। বরং তিনি উপভোগ করবেন স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy