রণবীর
সময়টা বোধহয় রণবীর সিংহেরই। তা কেরিয়ার হোক বা ব্যক্তিগত জীবন। তবে এই দিনটা দেখার জন্য স্ট্রাগলও তাঁকে কম করতে হয়নি। সাফল্যে ভাসতে ভাসতে ‘গাল্লি বয়’ মুক্তির আগে একটু যেন আবেগপ্রবণ দেখাল অভিনেতাকে। বললেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে সাড়ে তিন বছর বেকার ছিলাম। তখন রিসেশনের কারণে নিউকামারদের সঙ্গে কেউ কাজ করতে চাইত না। মনে মনে বলতাম, সময় আমারও আসবে।’’
সেই সময় এসে গিয়েছে। গাইতে না জানলেও তাঁর গাওয়া র্যাপ এখন সুপারহিট। হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘মিউজ়িক আমার জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। গান দিয়ে আমার দিন শুরু হয়, শেষও হয়। সকালে উঠে ভজন শুনি।’’ গানের ব্যাপারে আপনার এবং দীপিকার পছন্দ কি মেলে?
‘‘আমি হার্ড মিউজ়িক পছন্দ করি। কোল্ডপ্লে, পপুলার কমার্শিয়াল মিউজ়িক দু’জনেই ভালবাসি। অবশ্য দীপিকার যা পছন্দ, তা-ও শুনি।’’
‘গাল্লি বয়’-এ রণবীর র্যাপার। জীবনে কখনও এ রকম কিছু হতে চেয়েছিলেন? ‘‘আমি তো র্যাপার, ক্রিকেটার সবই হতে চেয়েছিলাম। আগে যখন ইন্টারনেট ছিল না, তখন ক্যাসেটে গানের লাইন লেখা থাকত। সেটা দেখে আয়নার সামনে গাইতাম। বাড়িতে একটা করিডর ছিল, সেখানে চেয়ার রেখে বোলিং প্র্যাকটিস করতাম। এখন অভিনেতা হয়ে সবই করতে পারছি। ‘এইট্টি থ্রি’-র জন্য রোজ সকালে ৪ ঘণ্টা প্র্যাকটিস করব। লর্ডসে গিয়ে বোলিং করব...’’ রণবীরের গলায় উচ্ছ্বাস। ব্যাটিং, বোলিংয়ের মধ্যে কোনটা বেশি পছন্দের? ‘‘ব্যাটিংটাই বেশি পছন্দ করতাম। তবে ফিল্ডিংও ভাল করতাম, স্কুলে বেস্ট ফিল্ডারের জন্য অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলাম। ব্যাটিংয়ে বেশি ভাল ছিলাম বলে বোলিংয়ের আলাদা কোনও স্টাইল তৈরি হয়নি। তাই নিজেকে ভাঙার প্রয়োজন নেই বলে বোলিং শেখাটাও সহজ হবে,’’ বললেন রণবীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy