Advertisement
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
TeLengana rape case

সাবাশ! বললেন ঋষি-অনুপমরা || এনকাউন্টার সমর্থনযোগ্য নয়, বলছেন অপর্ণারা

 অভিনেত্রী এবং একই সঙ্গে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়, “এত বড় ঘটনার পরেও দোষীরা  পালানোর চেষ্টা করেছে, এটা ভেবেই অবাক লাগছে। ধন্যবাদ জানাই হায়দরাবাদ পুলিশকে।”

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস

সংবাদ সংস্থা
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৪৮
Share: Save:

হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে দু’ভাগ সেলেবরা। এক পক্ষের অভিব্যক্তিতে শুধুই সাইবারাবাদ পুলিশের প্রশস্তি। ধর্ষণে অভিযুক্তদের সমর্থনে কেউই নয়, কিন্তু যে ভাবে এনকাউন্টার হয়েছে, তা মেনে নিতে পারেননি। প্রশ্ন রয়েছে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও। অপর্ণা সেন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়রা বিপক্ষে মত দিয়েছেন। তবে পুলিশের জয়গানের দিকেই পাল্লা ভারী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সকালবেলা এনকাউন্টারের খবর‍টা ছড়িয়ে পড়তেই কমেন্ট বক্সে স্বস্তির নিশ্বাস। বলি-টলি সেলেবরাও পুলিশের তারিফে উচ্চকিত।সকালবেলাতেই ঋষি কপূরের টুইট, ‘সাবাশ! তেলঙ্গানা পুলিশ। অনেক শুভেচ্ছা।’

একই সুর শোনা গেল অনুপম খেরের গলাতেও। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘যারা এ রকম জঘন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন তাঁরা আজ সবাই আমার সঙ্গে এক সুরে বলুন ‘জয় হো’।’

তবে পরিচালক অপর্ণা সেন এই মতকে সমর্থন করতে পারেননি। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ওই চার জনই যে ধর্ষণ করেছিলেন, এটা নিশ্চিত হওয়া গেল কী ভাবে? আবার যদি তাঁরা অপরাধী হয়েও থাকে, তাহলে শাস্তি পেল কই, পুলিশ হেফাজতেই থাকতেই তো মৃত্যু হল।’’

অভিনেতা-সাংসদ দেবের মতে, এটাই দরকার ছিল। পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনিও। অন্যদিকে নুসরত জাহান লিখেছেন, ‘অবশেষে...বিচার/ আইন বিভাগেরকাউকে তো বিচার পাইয়ে দিতে হবে। অবশেষে আওয়াজ উঠেছে। অপরাধীদের বাঁচার কোনও অধিকার নেই।’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, “অত ভোরে পুলিশবাহিনীর হাত থেকে কী ভাবে ধৃতরা পালিয়ে গেল? সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। তবে, পুলিশ যা করেছে তা প্রশংসার যোগ্য।”

আরও পড়ুন-‘পার্টিতে গেলে সোসাইটি পিপলরা বলেন, হ্যান্ডসাম অন্ধ’

দেবের টুইট-

অভিনেত্রী এবং একই সঙ্গে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়, “এত বড় ঘটনার পরেও দোষীরা পালানোর চেষ্টা করেছে, এটা ভেবেই অবাক লাগছে। ধন্যবাদ জানাই হায়দরাবাদ পুলিশকে।”

যদিও লেখক সাংবাদিক বীর সাংভি লিখেছেন, “ধর্ষকদের জন্য এক ফোঁটা চোখের জলও নয়। তবে আমি চিন্তিত, এঁরাই যে ধর্ষক সে বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত কী করে হচ্ছি আমরা? শুধুমাত্র পুলিশ বলেছে বলে? দ্বিতীয়ত, যদি এ রকম হত্যাকে আমরা প্রশংসা করি তবে পরবর্তীকালে পুলিশ তো যাকে খুশি তাঁকেই হত্যা করার ছাড়পত্র পেয়ে যাবে।”

বীরের টুইট

কী হয়েছিল শুক্রবার ভোরে? পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, গণধর্ষণ এবং খুনে অভিযুক্ত চারজনকে কড়া প্রহরায় সামসাবাদের ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে আন্ডারপাসে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। পুলিশের উদ্দেশ্য ছিল ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা। পুলিশের দাবি, ওই সময়ই অভিযুক্ত চার জন পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশের অস্ত্র কেড়ে গুলি চালানোরও চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। আত্মরক্ষার স্বার্থে বাধ্য হয়ে গুলি ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তদের।

আরও পড়ুন-এক হচ্ছে চার হাত, আজই মিথিলার সঙ্গে বিয়ে সৃজিতের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE