সেটাই তো জানতে চাইলাম, আপনাদের নিয়ে লেখা হচ্ছে না কেন?
সেটা পরিচালক, স্ক্রিপ্ট রাইটারদের ব্যাপার। আমার হাতে যেটুকু আছে, আমি এক জনকে বলতে পারি যে, সিরিয়াসলি রেডি টু ডু আ ফিল্ম। সেটা আমি প্রুভ করতে পারব, যখন উনি আমাকে শুট করবেন। ফলে আমাকে অপেক্ষা করতেই হবে।
পরমব্রত, আবির বা যিশুর পাশাপাশি আপনি বা এই জেনারেশনের অন্যান্যরা কোথায়? সমস্যাটা কি কোএগজিস্টটেন্সের?
না। আমি বিশ্বাস করি, আমরা কোএগজিস্ট করতে পারব। সব ইন্ডাস্ট্রিতেই সেটা হয়। কিন্তু ওই যে বললাম, এখানে কাজ খুব কম হয়। পুজোতে পাঁচটা ছবি রিলিজ করবে। সেটা এখন থেকে ঠিক হয়ে বসে আছে। আমার এটাতে আপত্তি। পাঁচটা ভাল ছবি একসঙ্গে আসাটা নিয়ে আমার প্রবলেম। আর তা ছাড়া…
আরও পড়ুন, ‘ও জানতেই পারল না, আমার ওকে মনে আছে…’
কী?
হিন্দি ছবি বা বাইরের ছবিকে আমরা এত প্রাধান্য দিই যে…। কলকাতায় বা পশ্চিমবঙ্গে তারা যা ব্যবসা করে, আমাদের ছবিকে যদি সেই প্রাধান্যটা না দিই, কোনওদিনই সেই জায়গাটা রিচ করতে পারব না। এটা তো আমার হাতে নেই। যেদিন পশ্চিমবঙ্গ থেকে শাহরুখ খান নয়, যিশু সেনগুপ্ত বেশি পয়সা পাবে, সে দিন ইন্দ্রাশিস, গৌরবের কাজের পরিমাণ বাড়বে। টাকার পরিমাণও বাড়বে। এখানে যদি সারাক্ষণই শাহরুখ, বরুণ ধবন, টাইগার শ্রফ রুল করে তা হলে আমরা কখনও ভাল করতে পারব না।
সে জন্যই কি আবার টেলিভিশনে ফিরলেন?
দেখুন, আমি নিজের ইমেজ ভাঙতে চাই না। সিনেমায় ছোট ছোট কাজ করিনি যে এমন নয়। কিন্তু দেখলাম যে ধরনের কাজ চাইছি, তা অনেক বেশি করে টেলিভিশন দিচ্ছে। ওয়েব দিচ্ছে। তবে অনেস্টলি বলছি, ছবিতে ভাল রোল পেলে, বড় রোল পেলে করতে রাজি আছি।
টেলিভিশন তো ইকনমিক ব্যাকআপটাও তৈরি করে…
অফকোর্স। আর্থিক ভাবে টেলিভিশন অনেক হেল্প করে। মাঝখানে পাঁচ বছর আমার অপেক্ষা করাটাকে অন্য ভাবে নেওয়া হয়েছিল। অনেকে ভেবেছিলেন, আমি টেলিভিশন করব না। তার পর ‘প্রেমের কাহিনি’ দিয়ে কামব্যাক করি। এখন ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’ করছি। এটাও ভাল কাজ। তবে ওয়ার্ক করা বা না করাটা পুরোটাই দর্শকের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু আমি টেলিভিশন আর করব না, এটা কখনও বলিনি।
তা