Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

তুরস্কে প্রকৃতির হার

ইস্তানবুলে ‘গ্যাংস্টার’ ছবির শ্যুটিং। ও রকম সৌন্দর্য। অত ভাল লোকেশন। তা সত্ত্বেও সেটে পৌঁছে ইন্দ্রনীল রায়-এর মনে হল শ্যুটিং ছাড়াও যেন অনেক কিছুই ‘ঘটছে’ বহু দিনের হিট সিরিয়াল ‘বোঝে না সে বোঝে না’র নায়ক। এ বার বড় পর্দায়। যশ দাশগুপ্ত। এখানে লিপ দিচ্ছেন অরিজিৎ সিংহের গলায়, ভূমধ্যসাগরের এক অচেনা দ্বীপে। হাজির একমাত্র আনন্দplus।

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

বহু দিনের হিট সিরিয়াল ‘বোঝে না সে বোঝে না’র নায়ক। এ বার বড় পর্দায়। যশ দাশগুপ্ত। এখানে লিপ দিচ্ছেন অরিজিৎ সিংহের গলায়, ভূমধ্যসাগরের এক অচেনা দ্বীপে। হাজির একমাত্র আনন্দplus। লিপ দিচ্ছেন, ‘ঠিক এমন এভাবে’ গানটিতে। “এ রকম লোকেশন দেখলেই মন ভাল হয়ে যায়। যেমন সমুদ্রের রং, তেমন খাওয়াদাওয়া। এত সুন্দর দেশ পৃথিবীতে খুব কম আছে,” বলেন যশ। শোনা যায় ফেব্রুয়ারিতে তিনি একটা পার্টিতে ঢোকা মাত্র টালিগঞ্জের বড় বড় নায়করা খোঁজ নিচ্ছিলেন, কবে বড় পর্দায় আসবেন। তা হলে কি অন্য নায়করা অলরেডি ইনসিকিওর্ড?

‘‘না, না। এটা আমার প্রথম ছবি। আমি কাউকে ইনসিকিওর্ড করতে চাই না। সিনিয়রদের কাছ থেকে শিখতে চাই। এবং নিজেকে বলি, আমার হোমওয়ার্কে কোনও খামতি যেন না রাখি,’’ বলেন টালিগঞ্জের নতুন হিরো।

মিমির ‘বিশেষ বন্ধু’ মিলি

ছবি: ইন্দ্রনীল রায়

‘‘‘গ্যাংস্টার’ সত্যি আমার জীবন বদলে দিয়েছে,’’ বলেন মিমি। না, নিজের ব্যক্তিগত জীবন বা মিলিকে নিয়ে কথা বলছিলেন না তিনি। বলছিলেন এই ছবিতে তাঁর চরিত্র নিয়ে। ‘‘এত ভাল চরিত্র খুব কম পেয়েছি। অসম্ভব পরিশ্রম করে শ্যুটিং করেছি। প্রচুর অ্যাকশন সিকোয়েন্সও করেছি। একদিন তো মারামারি করতে করতে পেটে এমন ঘুসি খেয়েছিলাম যে, অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। দর্শক একটা অন্য মিমিকে দেখতে পাবেন এই ছবিতে,’’ সমুদ্রের ধারে কাবাব আর ডায়েট কোক খেতে খেতে বলেন নায়িকা

ইস্তানবুলে এর আগেও শ্যুটিং করেছেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। কিন্তু ‘গ্যাংস্টার’‌য়ের অভিজ্ঞতা একেবারে অন্য মাত্রায়, সাফ জানাচ্ছেন তিনি। ‘‘প্রথমে ইস্তানবুলে এত বড় ঝামেলা। পুরো ইউনিট ভাবছে দেশে ফিরবে কি না, তার মধ্যে শ্যুটিং! কী সব লোকেশন — কাপ্পাদোসিয়া, ফেতিয়া, অ্যান্তালিয়া। আমি শিওর কাপ্পাদোসিয়া এর পরে বাঙালির অন্যতম প্রিয় লোকেশন হয়ে উঠবে। এ রকম শ্যুটিং বাংলা ছবি দেখেনি। এটুকু বলতে পারি, পুজোতে কিন্তু ‘গ্যাংস্টার’ জমিয়ে দেবে,’’ বলেন পরিচালক।

‘গ্যাংস্টার’ ছবিতে একটা বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে ব্রাত্য বসুকেও। তিনি শুধু ‘গ্যাংস্টার’ নিয়ে উত্তেজিত নন, তিনি আপ্লুত তুরস্ক দেশটাকে নিয়েও। ‘‘কী অসম্ভব প্যাশনেট একটা দেশ। সেই প্যাশনের মধ্যে ইউরোপ আর এশিয়ার একটা অদ্ভুত মিশেল আছে। এক দিকে রয়েছে মধ্য প্রাচ্যের রুক্ষতা। অন্য দিকে ইউরোপ সুলভ উদারমনস্ক আবহ। আর এই ছবিতে পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তর সঙ্গে কাজ করে আমার খুব ভাল লেগেছে,’’ বলেন ব্রাত্য।

‘গ্যাংস্টার’‌য়ের শ্যুটিংয়ের সবচেয়ে বড় ঘটনা মিমির সঙ্গে লাইন প্রোডিউসর ইলহান কিজল্কি-র ছেলে মিলির প্রেম। সব ভাল যার শেষ ভাল। শ্যুটিং শেষ হওয়ার আগের দিন পুরনো মেজাজে নায়িকা। পরনে ইঙ্গিতপূর্ণ টি-শার্ট। বড় বড় হরফে লেখা, ‘লাইফ ইজ আ বিচ... অ্যান্ড সো অ্যাম আই’। টি-শার্টের লেখা কি কারও উদ্দেশে? ‘‘কারও উদ্দেশে নয়। আমি এ রকমই। টেক মি অর লিভ মি,’’ বলে একগাল হাসেন নায়িকা।

বিতর্ক

‘গ্যাংস্টার’‌য়ের প্রথম গান, ‘ঠিক এমন এভাবে’র রিলিজের পরেই বিতর্ক। অরিজিৎ সিংহের গাওয়া এই গান চার দিনেই সাড়ে পাঁচ লাখ ভিউজ হয়েছে ইউটিউবে। কিন্তু বিতর্ক বাধল অন্য জায়গায়। গানটা রিলিজ হওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপে একটা লিঙ্ক অনেকের ফোনে পাঠানো হয়। লিঙ্কের ভিডিয়োটা লুডোভিকো এনাউদি-র একটা পিয়ানো পিস, যেখান থেকে এই গানটা পরিষ্কার টোকা হয়েছে।

অভিযোগের তির ওঠে সঙ্গীত পরিচালক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। এমনকী সঙ্গে সঙ্গেই অনুপম রায় ‘চিট’ বলে টুইটও করেন। নাম না করলেও, সেটা যে অরিন্দমের উদ্দেশে সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারও। তবে ওই যে বলে, ‘দেয়ার ইজ নো সাচ থিং অ্যাজ ব্যাড পাবলিসিটি। অল পাবলিসিটি ইজ গুড।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE