হইচই ফেলে দেওয়ার মতোই খবর! বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছেন প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। বাংলার বুকে একটা সময় দাপটের সঙ্গে দু’দশকেরও বেশি রাজ্যপাট চালিয়েছেন তিনি। সেই জ্যোতিবাবুর জীবন নিয়েই এ বার সিরিজ। পরিচালক হিসেবে শোনা যাচ্ছে ‘হীরালাল সেন’-এর পরিচালক অরুণ রায়ের নাম।
কিন্তু হঠাৎ জ্যোতি বসুই কেন? আনন্দবাজার অনলাইন সবিস্তার জানতে যোগাযোগ করেছিল পরিচালকের সঙ্গে। তাঁর মুখে কুলুপ। তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পরিচালকের এক ঘনিষ্ঠ জানিয়েছেন, পরিচালক অরুণ বরাবরই বাঙালির অতীত গর্বকে পর্দায় তুলে ধরতে ভালবাসেন। ‘হীরালাল সেন’ বা ‘বিনয়, বাদল, দীনেশ’-এর মতো ছবি তার উদাহরণ। এ বার তিনি বেছে নিয়েছেন বাম আমলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে। যার ব্যক্তিজীবন এবং রাজনৈতিক জীবনের বর্ণময়তার সঙ্গে অন্য কোনও কমিউনিস্ট নেতার তুলনা এ দেশে চলে না। এই মুহূর্তে বাম দলগুলি রাজ্য রাজনীতিতে কোণঠাসা। তাদের চাঙ্গা করতেই কি এই পদক্ষেপ? এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে টলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন, বিষয়টি নিয়ে পরিচালক এবং প্রযোজকের মধ্যে জোর আলোচনা চলছে। খুব শিগগিরিই সিরিজের নামও ঘোষণা করে দিতে পারে প্রযোজনা সংস্থা। শ্যুটিংও শুরু হয়ে যাবে তার পরেই। তবে সিরিজে নাকি বদলে যেতে পারে জ্যোতি বসুর নাম। তা নিয়েও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। রাজনীতিকের ভূমিকায় কে অভিনয় করবেন? ৫ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার প্রখর ব্যক্তিত্ব এবং মেধাবী পুরুষের চরিত্রে মানানসই অভিনেতার খোঁজেই নাকি আপাতত ব্যস্ত পরিচালক। সম্ভবত এ বারও মঞ্চের কোনও নতুন মুখকেই বাম নেতার আদলে গড়েপিটে নেবেন তিনি। অভিনেতাকে বাহ্যিক ভাবে তিলে তিলে একদা বাম সংগঠনের ‘যুগপুরুষ’ উঠতে অনেকটাই সাহায্য করবে প্রস্থেটিক রূপটান।