উ: ফিটনেস আমার কাছে একটা হ্যাবিট, সকালে উঠে দাঁত ব্রাশ করার মতো। ছোটবেলা থেকে বাবাকে দেখেছি খাওয়া-ঘুম না হোক, জিমে যেতেই হবে। তা না হলে দিনটা ইনকমপ্লিট।
আরও পড়ুন: আমি মানুষকে সম্মান দিতে জানি: শুভশ্রী
প্র: চরিত্রের প্রয়োজনে আপনাদের ওজন বাড়াতে বা কমাতে হয়। এটা শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর বা আদৌ কি ক্ষতিকারক?
উ: দেখুন, আমি না খেয়ে রোগা হওয়ার ভীষণ বিরোধী। ওজন কমানো বা বাড়ানোটা একটা রেজিম। চট করে হয় না। তাড়াহুড়ো করতে গেলেই বিপদ। ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে গাল হয়তো ভাঙবে, কিন্তু স্কিন নষ্ট হবে, ইন্টারনাল সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বয়সের তুলনায় বেশি বয়স্ক দেখাবে। তা ছাড়া, খাবার হজম করার জন্য যে এনজাইম বেরোচ্ছে, তা খাবার না পেলে স্টমাকের ওয়ালকে অ্যাটাক করে। তখনই হয় পেটব্যথা। তাই সব সময় বলি, খেয়ে রোগা হোন। আর বয়স ধরে রাখতে চাইলে, ভিতর থেকে হেলদি থাকা দরকার।
প্র: পুজোটা কি তা হলে সিদ্ধ-ওটস, এ সব খেয়ে কাটিয়েছেন?
উ: একেবারেই না। আমি কী ভাবে মেনটেন করি জানেন, সপ্তমীর দিন বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি ছিল, প্রচুর খাওয়াদাওয়া। সে দিন লাঞ্চে ভাত খাইনি। একটা রুটি খেলাম, সঙ্গে ডাল-মাছ-সবজি। ব্রেকফাস্টে একটা টোস্ট, যেখানে ইউজুয়ালি তিনটে খাই। খিদে পেলে, ফল বা ভেজিটেবলস। এক পিসের জায়গায় দু’পিস মাছ খেলাম।
প্র: এত আউটডোর শ্যুটে যান, মেনটেন করেন কী ভাবে? তখন তো জিম করা হয় না।
উ: জিমে গিয়ে যে আপনি রোগা হতে পারবেন, এটা কোথাও লেখা নেই। এমনও হয়েছে দু’মাস হয়তো জিমে যেতে পারিনি। তখন সকালে বা রাতে খাওয়ার পর আধঘণ্টা হাঁটি। কখনও যোগব্যায়াম করি বা স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ। ব্যাডমিন্টন খেলা, সাঁতার কাটা... কত ফর্ম অফ ওয়র্কআউট আছে! জিম করছি না বলে যা ইচ্ছে তাই খেলাম, আবার জিম করলে সিদ্ধ খেয়ে থাকলাম, তা হলে ওজন কমানো যায় না! রোগা হওয়ার জন্য সেভেন্টি পারসেন্ট ডায়েট। মাত্র থার্টি পারসেন্ট জিম। আউটডোর শ্যুটে ভোর চারটের সময় মেকআপ আর্টিস্ট, হেয়ার স্টাইলিস্ট রুমে চলে আসে। সে সব ক্ষেত্রে শ্যুট শেষ হলে রুমে ফিরে পনেরো মিনিট সময় আমি নিজেকে দিই। জাম্পিং, স্কিপিং, পুশআপ করি বা রেজিসট্যান্স ব্যান্ড দিয়ে স্ট্রেচিং। ফলে ফুল বডি ওয়র্কআউট হয়ে যায়। আমার কাছে কিছু না থাকলে, একতলা থেকে চারতলা দৌড়ে ওঠানামা করি কয়েক বার। জিমে না গেলেও অনেক প্রসেস আছে ফিট থাকার। গুরুত্বপূর্ণ হল, আপনি চান কি না, ভাল দেখতে লাগুক।