স্বামীর অন্য এক পরিবারের প্রতি কি ঈর্ষান্বিত হননি হেমা? —ফাইল চিত্র
প্রেমে পড়ে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছিলেন আইনকে। এক জনের সঙ্গে দাম্পত্যে থেকেই স্বপ্নসুন্দরী’ হেমা মালিনীকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। তাঁদের প্রেমকাহিনি তাজ্জব করেছিল মায়ানগরীকে, যা নিয়ে এখনও চর্চা হয়।
সত্তর দশক থেকেই হেমা মালিনী মন দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্রকে। তত দিনে ধর্মেন্দ্র প্রকাশ কউরকে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। ১৯৮০ সালে যখন তিনি হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন, তখনও প্রকাশের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কেই ছিলেন। যদিও থাকতেন হেমার সঙ্গেই।
স্বামীর অন্য এক পরিবারের প্রতি কি ঈর্ষান্বিত হননি হেমা? সিমি গ্রেওয়ালের অনুষ্ঠানে হেমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ধর্মেন্দ্রের মনোযোগে ভাগ বসাতে তাঁর আগের পক্ষের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মনোভাব ছিল কি না হেমার।
হেমা বলেন, “একেবারেই নয়। ভালবাসায় শুধু দেওয়ার ব্যাপার থাকে। পাওনা কিংবা দাবি থাকে না।” অভিনেত্রীর মতে, ভালবাসার মাঝখানে কিছুই আসতে পারে না।
প্রকাশের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর চার সন্তান। পুত্র সানি এবং ববি দেওল, কন্যা অজিতা এবং বিজেতা। পরবর্তী কালে হেমার সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর দাম্পত্যে দুই কন্যা এষা এবং অহনার জন্ম হয়। প্রকাশের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর বিবাহবিচ্ছেদ হোক— চাননি হেমা?
হেমার বক্তব্য, “মানুষকে যত ভালবাসবে, তার কাছ থেকে ততটাই ভালবাসা ফিরে পাবে। তাই একটা ছোট্ট বিষয়ের জন্য কেন এক জনকে উত্ত্যক্ত করব? এই কারণের জন্য কখনও ধরমজিকে ব্যস্ত করিনি, উত্তেজিত করিনি। আমি ভালবেসে যেতে চেয়েছিলাম, তাই আজও আমরা পরস্পরকে এতটা ভালবাসি”।
হেমার দাবি, ধর্মেন্দ্র যেমন সে ভাবেই তাঁকে মেনে নিয়েছেন তিনি। ভালবাসায় সঁপে দিয়েছেন নিজেকে আর সব তুচ্ছ হয়ে গিয়েছে। হেমার মতে, “আমার কোনও বিরক্তি বা ঈর্ষা নেই এতে।”
১৯৯৯ সালে এই সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ‘শোলে’র নায়িকা। সম্প্রতি সিমি তাঁর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন ভিডিয়োটি। তাই আবার ফাইরাল। হেমার সৎ স্বীকারোক্তি আবার মুগ্ধ করল কয়েক প্রজন্মের অনুরাগীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy