Advertisement
১৬ জুন ২০২৪

লক্ষ্মীর বিশ্বাস অর্জন করাটা সহজ ছিল না

বাস্তব ঘটনা পর্দায় তুলে ধরতে ভালবাসেন মেঘনা গুলজ়ার। তাঁর মুখোমুখি আনন্দ প্লাস

মেঘনা

মেঘনা

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২০ ২৩:০১
Share: Save:

প্র: আঠেরো বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন। সেই তুলনায় খুব কম ছবি করেছেন...

উ: বিশ্বাস করুন, নিজের ইচ্ছেয় এটা করিনি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এ ভাবেই চলে। ছবি না চললে, পরবর্তী ছবির জন্য অনেক অপেক্ষা করতে হয়। ছবি চললে পরের প্রজেক্টের রাস্তাটা অনেক সহজ হয়। আমি যে ধরনের ছবি করতে চাই, তার জন্য এখন দর্শক অনেক বেশি প্রস্তুত হয়েছেন। আর হ্যাঁ, মাঝের একটা সময়ে ছেলের (সময়) কারণে কাজ করিনি। এখন ওর বয়স ১০ বছর। আমাকে অতটা প্রয়োজন হয় না।

প্র: আপনার স্বামী গোবিন্দ সাঁধু ‘ছপাক’-এর সহ-প্রযোজক। এই ছবি কি আপনাদের ড্রিম প্রজেক্ট?

উ: ২০১৬ সাল থেকে লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবনী আমাদের কাছে রয়েছে। তখন থেকেই গোবিন্দ ছবিটা বানাতে চায়। যে কোনও কাজেই আমি স্বামীকে পাশে পেয়েছি। আমার প্রতিটা ছবির আউটডোরে গোবিন্দ আমাদের ছেলে সময়কে নিয়ে আসে। আমার কাছে এটা অনেকটা ব্যাটারি রিচার্জের মতো। আমি বাড়িতে না থাকলে, সব কিছু গোবিন্দই সামলায়। একজন পরিচালকের কাছে এটা বড় পাওনা।

প্র: অ্যাসিড অ্যাটাকের অনেক ঘটনাই রয়েছে। লক্ষ্মী আগরওয়ালের ঘটনাটাই কেন বাছলেন?

উ: ‘তলওয়ার’-এর শুটিংয়ের সময়েই লক্ষ্মীর ঘটনা আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। মিডিয়া রিপোর্ট পড়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম! লক্ষ্মীর মেডিক্যাল কেস খুব জটিল ছিল। তার সঙ্গে ছিল নানা আইনি জটিলতা।

প্র: লক্ষ্মীকে রাজি করাতে সমস্যা হয়েছিল?

উ: প্রথম আর কঠিন কাজ ওটাই ছিল। লক্ষ্মীর বিশ্বাস আর আস্থা অর্জন করাটা আমাদের কাছে সহজ ছিল না। লক্ষ্মী রাজি হয়ে যাওয়ার পরে, আমি আর আমার রাইটার আতিকা চৌহান চিত্রনাট্যের কাজ শুরু করে দিই। লক্ষ্মী সেটে এসেছিল। ওর ভাল লেগেছিল আমাদের কাজ। এটা আমার কাছে বিরাট পাওনা। এখন লক্ষ্মী আমার খুব ভাল বন্ধু। নয়ডা গেলে আমরা দেখা করি, মলে ঘুরে বেড়াই। সারা জীবনের জন্য লক্ষ্মীকে বন্ধু হিসেবে পেয়েছি। এটা আমার কাছে কম নয়।

প্র: অ্যাসিড অ্যাটাকের ঘটনা নিয়ে যাতে আরও আলোচনা হয়, সেই কারণেই কি দীপিকা পাড়ুকোনের মতো নামী অভিনেত্রীকে বাছলেন?

উ: দুটো কারণে লক্ষ্মীর চরিত্রে দীপিকাকে ভেবেছিলাম। এক, লক্ষ্মী এবং দীপিকার চেহারার খুব মিল। বিশেষ করে দীপিকা যখন ২২-২৩ বছরের ছিল। এতটাই মিল যে, লক্ষ্মী নিজেও সেটা অনেকবার আমাদের কাছে বলেছে। দুই, দীপিকার মতো সুন্দরী একজনের চেহারা পাল্টে যাওয়াটা ভীষণ শকিং। এটা দর্শকের মনের উপরে প্রভাব ফেলবে। তবে এটা একান্তই আমার মতামত।

প্র: এই ছবির প্রচারে এসে দীপিকা বারে বারে কেঁদে ফেলছেন। আর কোনও প্রজেক্ট নিয়ে ওঁকে এতটা আবেগপ্রবণ হতে দেখা যায়নি।

উ: দীপিকা ভীষণ ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে এই ছবিটার সঙ্গে। লক্ষ্মীর চরিত্র করতে গিয়ে ও অনেক বার ভেঙে পড়ছে। ও খুব সাহসী, কাজ নিয়ে সিরিয়াস। দিল্লির গরমে প্রস্থেটিক মেকআপে শুট করা খুব কঠিন। বিশেষত যেখানে দীপিকা ক্লসট্রোফোবিক।

প্র: আপনার বাবা গুলজ়ারের কোনও ছবি রিমেক করতে চান?

উ: কোনও দিন করব না। আমার মতে, কোনও পরিচালকেরই অন্য পরিচালকের ক্লাসিক ফিল্ম নিয়ে কাটাছেঁড়া করা উচিত নয়। নতুন প্রজন্মকে তো আমরা ক্লাসিকগুলোই দেখাতে পারি। রিমেক করার কী আছে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Meghna Guljar Chapak
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE