আদিত্যর স্ত্রী অভিনেত্রী জারিনা ওয়াহাবের শরণাপন্নও হয়েছিলেন কঙ্গনা। অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। কিন্তু কঙ্গনাকে কোনও সাহায্য করেননি জারিনা। এমনকি, এই ত্রিকোণ প্রেমের সবকিছু জেনেও তিনি স্বামীর পাশে ছিলেন। কঙ্গনার সঙ্গে আদিত্য় লিভ ইন করছেন জেনেও ডিভোর্সের পথে যাননি জারিনা। পরে তাঁর বিরুদ্ধে আনা কঙ্গনার সব অভিযোগ অস্বীকার করেন আদিত্য।
আবার কঙ্গনার বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নিগ্রহের অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর আর এক প্রাক্তন প্রণয়ী অধ্য়য়ন সুমন। অভিনেতা শেখর সুমনের ছেলে অধ্যয়নের অভিযোগ, " কয়েক বছর আগে কঙ্গনা তাঁর জন্মদিনে ‘দ্য লীলা’তে কাছের মানুষদের আমন্ত্রণ জানায়। আমায় হঠাৎ করেই ও বলে ‘চল আজ সারারাত কোকেন নিই’। এর আগে আমি কঙ্গনার সঙ্গে গাঁজা খেয়েছি। আমার ভাল লাগেনি। আমি না বলি। এর পরেই কঙ্গনা রেগে যায়। আমাদের মধ্যে বিশ্রী ঝামেলা শুরু হয়।”
জবাবে কঙ্গনা টুইটে লেখেন, “ইন্ডাস্ট্রিকে আপনি কোন থালা সাজিয়ে দিয়েছেন জয়াজি? একটা থালা পেয়েছিলাম যেখানে দু’মিনিটের আইটেম নম্বর এবং একটা রোম্যান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করার বদলে নায়কের সঙ্গে বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব সাজানো ছিল। এই ইন্ডাস্ট্রিকে নারীবাদ আমি শিখিয়েছি। নারীবাদী,দেশপ্রেমের ছবি দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির থালা সাজিয়েছি। এই থালা আমার নিজের জয়াজি, আপনার নয়।”
একদিন কঙ্গনাকে ‘পতিতা’ বলেছিলেন ঊর্মিলা মাতন্ডকর। কঙ্গনার সাম্প্রতিক বাকনিশানায় পড়েছেন ঊর্মিলাও। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঊর্মিলাকে ‘সফট পর্ন অভিনেত্রী’ বলেন কঙ্গনা। বলেন,‘‘ঊর্মিলা একজন সফট পর্ন স্টার। অভিনয় দক্ষতার জন্য ঊর্মিলা বিখ্যাত নন। তা হলে উনি কেন বিখ্যাত? সফট পর্ন সিনেমায় অভিনয় করার জন্য। সেও যদি ভোটের টিকিট পেতে পারে, আমিও পারি।’’
পাল্টা উত্তর দিতে সময় নেননি তাপসীও। কঙ্গনাকে তিক্ত, অসুখী মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে পাল্টা আক্রমণ করেন ‘পিঙ্ক’ অভিনেত্রী। তাপসী কতগুলো ইংরেজি কোট শেয়ার করেন টুইটারে। যাতে লেখা, “অসুখী মানুষদের মতো ব্যবহার করো না। বরং তাঁদের আচরণ থেকে শিক্ষা নাও কী রকম আচরণ করা উচিত নয়।” দুই বহিরাগতর তরজায় সরগরম হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া।
‘তনু ওয়েডস মনু’-র সাফল্য়ের অন্য়তম উপাদান কঙ্গনা ও স্বরা ভাস্করের অনস্ক্রিন বন্ধুত্ব। বাস্তবে ছবিটা সম্পূর্ণ অন্যরকম। দুই অভিনেত্রীর ভার্চুয়াল ক্যাট ফাইট এখন শিরোনামে। কিছুদিন আগেই আমির খানের একটি সাক্ষাৎকার টুইট করেন কঙ্গনা। সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে কঙ্গনার দাবি ছিল,‘পিকে’ অভিনেতার স্ত্রী হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও তাঁর সন্তানদের ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করার শিক্ষা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত দেখা যায় সাক্ষাৎকারটি ফেক।
এমন সুযোগ ছেড়ে দেননি স্বরা। একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম এই ফেক খবরের উপর ভিত্তি করে কঙ্গনার টুইটের খবরটি প্রকাশ করে। সেখানেই স্বরা কমেন্ট করেন— “থক যা বেহেন”। এই ছোট্ট একটা লাইনের ‘থাম রে বোন’ খোঁচার সঙ্গে হাত জোড় করা ইমোজি যেন নাটকীয়তা বাড়িয়ে তুলেছে আরও কয়েকগুণ। স্বরার এই তিনটি শব্দই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দেয়। কেউ স্বরার পক্ষে, তো কেউ আবার এগিয়ে এসেছেন তাঁদের ‘কুইন’ কঙ্গনার জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy