আরও পড়ুন, স্বস্তিকা, তনুশ্রীদের নিয়ে এই সব বললেন মীর!
ছবির গল্পটা ঠিক কেমন? পরিচালক জানালেন, টলিউডে প্রতি বছর বহু ছেলে-মেয়ে আসেন। হিরো, হিরোইন, ভিলেন, ডিরেক্টর, স্ক্রিপ্ট রাইটার— বিভিন্ন পেশার স্বপ্ন নিয়ে টলিউডে পা রাখেন তাঁরা। এঁরা বেশিরভাগই হারিয়ে যান। কেউ আবার জুনিয়র আর্টিস্ট হয়েই কাটিয়ে দেন সারা জীবন।
আরও পড়ুন, ‘জীবনে কত প্রেমিকাকে যে না বলতে হয়েছে…’
এমনই চার চরিত্র কল্যাণ, খরাজ, গণেশ এবং ঘণ্টা। কল্যাণ পরিচালক হতে চান। খরাজ স্ক্রিপ্ট রাইটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। গণেশের হিরো হওয়ার শখ। আর ঘণ্টার ভিশন ভিলেন হওয়া। এঁরা এক মেসে একসঙ্গে থাকেন। যার মালিক মাধব দত্তও এমনই এক স্বপ্ন নিয়ে ৫০ বছর আগে টলিউডে এসেছিলেন। কিন্তু স্টুডিওর বাইরে চায়ের দোকান খোলা ছা়ড়া বিশেষ কিছু করতে পারেননি তিনি। এই চারটি ছেলে কিছু না করা পরিস্থিতি থেকে, আদৌ কি কিছু করতে পারল? সেটা নিয়েই তৈরি ছবির গল্প।
কৃষ্ণেন্দু শেয়ার করলেন, ‘‘ক আর খ আসলে আমি নিজেই। যখন টেলিভিশনে কাজ করার পর প্রযোজকদের কাছে গিয়েছি তখন যে সব কথা শুনেছি তা তো সরাসরি বলতে পারি না। সেটাই মজার মোড়কে ছবিতে দেখাব।’’
আরও পড়ুন, ‘শট রেডি, ডাকতে আসবে, কিন্তু উঠব না, এ ভাবেই মরতে চাই’
এই ছবিতে এক প্রযোজকের ভূমিকায় অভিনয় করবেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। কৃষ্ণেন্দু বললেন, ‘‘এই প্রযোজকের বিস্কুটের কারখানা। এঁর জীবনটাই বিস্কুটময়। কৌশিকদাকে কিন্তু আগে এমন ভাবে দেখেননি দর্শক। অসাধারণ কাজ।’’ কৌশিকের স্ত্রীর চরিত্রে রয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য। মেসের মালিকের চরিত্রে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনয় সমৃদ্ধ করেছে এই ছবিকে। মূল চারটি চরিত্রে দেখা যাবে সমদর্শী দত্ত, ইমন চক্রবর্তী, সৌরভ দাস এবং সায়নকে। এক দক্ষিণ ভারতীয় পরিচালকের চরিত্রে রয়েছেন মীর।
আরও পড়ুন, ‘বিশ্বাস করুন, আমি বেকার, আমার কাছে কোনও কাজ নেই’
১০ বছর আগের কৃষ্ণেন্দু যখন আজ পরিচালক কৃষ্ণেন্দুকে দেখেন কী মনে হয়? মৃদু হাসলেন পরিচালক। বললেন, ‘‘এর আগে সত্যদার কোচিং নামের একটা ছোট ছবি তৈরি করেছিলাম। কিন্তু সে সময় অনেক কথা শুনতে হয়েছে। বাবা-মাকে লোকে বলেছে ছেলেকে খরচ করে ডাক্তার বানালে কেন? ও তো টিভিতে মুখ দেখাতে চায়। আসলে এখানে আমাকে অনেক ঠেকে শিখতে হয়েছে।’’