মহাকুম্ভে গিয়ে কিন্নর আখড়ায় পেয়েছিলেন মহামণ্ডলেশ্বরের সম্মান। কিন্তু সেই পদের মেয়াদ ছিল মাত্র এক সপ্তাহ। এ বার সেই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মমতা কুলকার্নি। সোমবার নিজেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তিনি। মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে ইস্তফা দিলেও, নিজের সন্ন্যাসীসত্তার বিসর্জন দেবেন না বলে জানিয়ে দেন মমতা।
মমতাকে মহামণ্ডলেশ্বর পদ দেওয়ার পরে কিন্নর আখড়ার অন্দরে শুরু হয় বিতর্ক। প্রশ্ন ওঠে, অভিনেত্রী আদৌ মহামণ্ডলেশ্বর পদ পাওয়ার যোগ্য কি না! একসময় রুপোলি জগতে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় এবং অপরাধ জগতের সঙ্গে নাম জড়ানোয় মমতার মহামণ্ডলেশ্বর পদ নিয়ে আপত্তি জানান অনেকেই। তার পরে ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় বহিষ্কৃত হন তিনি।
সোমবার একটি ভিডিয়োবার্তায় মমতা বলেন “আমি কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। শৈশব থেকেই আমি সাধিকা ছিলাম। আগামী দিনেও তাই-ই থাকব।” মমতা জানান, এই পদ তিনি হারালেও তিনি সন্ন্যাসীর পরিচয় নিয়েই থাকতে চান। গত ২৫ বছর ধরেও নানা সাধনার মধ্যে দিয়ে তিনি দিন কাটিয়েছেন বলে জানান।
নিজের তপস্যার কথা আগেই বলেছিলেন মমতা। অভিনেত্রী তথা সাধিকার কথায়, “আমি ২৫ বছর ধরে তপস্যা করেছি। বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশকে অনুরোধ করব, ওঁর গুরুর থেকে আমার ব্যাপারে জানার জন্য।” অভিনেত্রী জানিয়েছেন, গত ২৩ বছরে তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি কোনও ছবিও দেখেননি। শুধুই সন্ন্যাস গ্রহণ করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্নর আখড়ার আচার্য লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীর কথায় তিনি মহামণ্ডলেশ্বর পদ নিতে রাজি হন।