এ বারের পুজোয় নিজের অতীতের মুখোমুখি সঞ্চালক-অভিনেতা মীর আফসার আলি। ছেলেবেলায় দুর্গাপুজোয় কী করতেন তিনি? কেমন কাটত দিনগুলো? ফিরে দেখেছেন আবার। আর পুরনো অভিজ্ঞতার ঝুলি উপুড় করেছেন এক ভিডিয়ো বার্তায়। তাতেই গণ্ডগোল। দুর্গাপুজো নিয়ে মুখ খুলতেই ফের ধর্মীয় গোঁড়ামির শিকার তিনি। সে কথা জানিয়ে ফেসবুকে মীরের আক্ষেপ, ‘এত যুগ বাদেও মানুষকে বোঝানো গেল না যে, ধর্ম যার যার নিজের ব্যাপার। কিন্তু ‘উৎসব’ সবার।‘
বিশেষ ভাবনা থেকেই বিশেষ এই ঝলক তৈরিতে উৎসাহ দেখিয়েছিলেন অভিনেতা-সঞ্চালক। তাঁর মনে হয়েছিল, তাঁর জীবনের এই বিশেষ পর্ব সাধারণ মানুষের মন ছুঁয়ে যাবে। হয়তো তাঁরাও পায়ে পায়ে ফিরে যাবেন তাঁদের ছেলেবেলায়। এই প্রত্যাবর্তনের সঙ্গী হবেন দর্শকের মা-বাবাও। তাঁরাও অন্য সুখ খুঁজে পাবেন মীরের ছেলেবেলার গল্প শুনতে শুনতে। সেই মতো ‘সঙ্গীতের মহাযুদ্ধ’ রিয়্যালিটি শো-এর সঞ্চালকের বক্তব্য, ‘‘ছোটবেলায় নুন আনতে পান্তা ফুরনোর মতো অবস্থা ছিল। তার পরেও পুজোয় প্রত্যেক বছর মা-বাবা আমায় নতুন জামা-কাপড় কিনে দিতেন। কিন্তু কোনও দিন তাঁরা নিজেদের জন্য জামা-কাপড় কিনতেন না।’’ এই বৈষম্য মীরের মনে প্রশ্ন জাগিয়েছিল, কেন প্রতি বছর তাঁর জামা হবে? মা-বাবার হবে না?
মীরের বাবা সে দিন ছেলেকে বুঝিয়েছিলেন, মীর বড় হচ্ছেন। দৈর্ঘে-প্রস্থে বাড়ছেন। তাই তাঁর জন্য নতুন জামা কেনা হচ্ছে। কিন্তু মা-বাবা বড় হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের আর বাড়-বৃদ্ধি নেই। ফলে, নতুন পোশাক কেনারও দরকার নেই। পরে বড় হয়ে সঞ্চালক উপলব্ধি করেছিলেন, সেই সময় এক সঙ্গে তিন জনের পোশাক কেনার সামর্থ ছিল না তাঁদের। তাই শুধু তাঁর জামা কেনা হত।