ছবিটি ১৯৮৫ সালে মুক্তি পায়। কিন্তু এর শুটিং শুরু হয়ে গিয়েছিল তার ঠিক পাঁচ বছর আগে থেকে, অর্থাত্ ১৯৮০ সালে। রোমান্টিক ছবি। অতএব এমন রোল করতে পারেন সে রকমই হিরো খুঁজছিলেন বোকারিয়া। তখনই ঋষি কপূরের কথাটা মাথায় আসে তাঁর। ছবির যে স্ক্রিপ্ট ছিল, তাতে ঋষি কপূরই বেশ মানানসই হবে রোমান্টিক হিরোর জন্য, এই ভেবেই তাঁকে ছবিতে অভিনয়ের অফার দেন বোকারিয়া।
মহা সমস্যায় পড়লেন বোকারিয়া। ঋষির জায়গায় কাকে নেবেন? অগত্যা ডাক পড়ল মিঠুন চক্রবর্তীর। সে সময় বলিউডে তেমন নামডাক হয়নি মিঠুনের। সুপারহিট ছবিও সংখ্যাও ছিল না। তবে রোম্যান্টিক হিরোর চেয়ে অ্যাকশন আর ডান্সিং হিরো হিসেবেই বলিউডে কাজ করছিলেন তিনি। কিন্তু বোকারিয়া যে ছবি বানাচ্ছিলেন তার সঙ্গে অ্যাকশন বা ডান্সিং হিরো ঠিক খাপ খাচ্ছিল না।
ইতিমধ্যেই ১৯৮৩ সালে ‘প্যার ঝুকতা নেহি’ ছবির শুটিং শেষ হয়। শুধু মুক্তির অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু মিঠুনের মতো এক জন অ্যাকশন এবং ডান্সিং হিরো ছবিটায় কতটা সফল হবে তা নিয়ে ডিস্ট্রিবিউটরদের মধ্যে একটা আশঙ্কা ছিল। ছবিটি বাজারে আদৌ চলবে কি না তা নিয়েও একটা দোলাচল ছিল। ফলে পুরো শুটিং শেষ হওয়ার পরেও দু’বছর ছবিটির মুক্তি আটকে গিয়েছিল।
কেউ যখন ছবিটির মুক্তির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করছিলেন না, পরিচালক বোকারিয়া নিজেই রিলিজ করেন সেটি। ছবিটি রিলিজ হওয়ার পরই ব্লকবাস্টার হয়। ছবির জন্য সিলভার জুবিলি পুরস্কারও পান বোকারিয়া। দর্শকরাও এই ছবির মধ্যে দিয়ে এক নতুন মিঠুনকে আবিষ্কার করেন। রোম্যান্টিক হিরো হিসেবেও অসামান্য অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন মিঠুন।
‘প্যার ঝুকতা নেহি’ ছবিটি রোম্যান্টিক হলেও বোকারিয়া মিঠুনের কথা ভেবেই ছবির মধ্যে অ্যাকশন, নাচও জুড়ে দিয়েছিলেন। আর এটাই হয়েছিল বোকারিয়ার সাফল্যের জাদুকাঠি। সফল হয়েছিলেন মিঠুনও। ছবিটি যখন ব্যাপক হিট হল, ঋষি কপূর খুব আক্ষেপ করেছিলেন। কেননা এই ছবি করার যে কথা ছিল তাঁরই! অনেক সাক্ষাত্কারে তাঁর এই ‘ভুলের’ কথা বলতেও শোনা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy