প্রসেনজিতের সঙ্গে অভিষেক এবং সুদীপ্তা। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
এতদিন বিজ্ঞাপনের কাজে ছিল তাঁর স্বচ্ছন্দ বিচরণ। এ বার সেখান থেকেই প্রথম ছবির কাজ। ‘উড়নচণ্ডী’ দিয়ে নতুন জার্নি শুরু করছেন টলি পাড়ার নতুন পরিচালক অভিষেক সাহা।
‘উড়নচণ্ডী’তে অভিষেকের হাত ধরেছেন স্বয়ং প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়। কারণ এই ছবির প্রযোজনা করছে প্রসেনজিতের প্রযোজনা সংস্থা এনআইডিয়াস ক্রিয়েশনস অ্যান্ড প্রোডাকশনস।
প্রথম ছবিতেই কি ঝুঁকি নিলেন অভিষেক? কারণ ‘উড়নচণ্ডী’ একটি রোড মুভি। একটি লরিকে ঘিরে বিভিন্ন বয়সী তিন মহিলার জার্নি। রোড মুভি ঘরানা টলিউডে সে ভাবে নেই। তাই ওপেনিংয়েই রিস্কি গেম হয়ে গেল না? অভিষেক বললেন, ‘‘রিস্ক কোনটায় নেই বলুন তো? চান্স তো নিতেই হবে। আমি ভীষণ ট্রাভেল করতে ভালবাসি। টানা ২০ বছর একা থাকতাম। যেখানে সেখানে একাই চলে যেতাম। যদিও বিয়ের পর বেড়াতে যাই না বলে কমপ্লেন আছে। হা হা…। সেখান থেকেই গল্পটা মাথায় আসে।’’
আরও পড়ুন, শুভশ্রীর সিভিতে ‘রসগোল্লা’!
ছবির তিন মহিলার চরিত্রে রয়েছেন চিত্রা সেন, সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং রাজনন্দিনী দত্ত। অন্য একটি চরিত্রে রয়েছেন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষালের ছেলে অমর্ত্য। ছবির গল্প অভিষেক এবং সুদীপ দাসের। স্ক্রিন প্লে-র দায়িত্বে রয়েছেন সুদীপ। ক্যামেরা সামলাবেন সৌমিক হালদার। গানঘর থাকবে দেবজ্যোতি মিশ্রের হেফাজতে।
‘উড়নচণ্ডী’র তিন শিল্পী অমর্ত্য, রাজনন্দিনী এবং চিত্রা সেন।
অভিষেকের একটি অন্য পরিচয়ও রয়েছে। তিনি সুদীপ্তা চক্রবর্তীর রিয়েল লাইফ পার্টনার। এই জগতে সুদীপ্তা সিনিয়র। শুটিং শুরুর আগে সেটা নিয়ে কি বাড়তি চাপ রয়েছে অভিষেকের? হেসে পরিচালক বললেন, ‘‘সুদীপ্তা ক্রিয়েটিভলি স্ট্রং মানুষ। ও ইনপুট দেয়। সেটা হেল্পফুল। তবে কাজের জায়গাটা আমি আলাদা করেই রাখি। আর এই ছবিতে রোলটা সুদীপ্তার জন্য না হলে ওকে ভাবতাম না। আরও একটা ব্যাপার, অভিষেক ছবি করলেই সুদীপ্তা থাকবে এটা না ভাবাই ভাল।”
আরও পড়ুন, ‘বিশ্বাস করুন, আমি বেকার, আমার কাছে কোনও কাজ নেই’
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুটিং শুরু। নতুন জার্নি শুরু করার আগে অভিষেক বললেন, ‘‘টেনশন বাড়ছে…।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy