‘মণিকাঞ্চন’য়ে গোয়েন্দা রূপঙ্কর
জেমস বন্ড আর ফেলুদার ছবি ছোটবেলার পড়়ার বইয়ের মধ্যে লুকিয়ে রাখতেন। আজও ব্যোমকেশ বলতে উত্তমকুমার আর ফেলুদা বলতে বোঝেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি রূপঙ্কর। সময় পেলেই ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ আর ‘চিড়িয়াখানা’ দেখেন। এই ভাললাগা নিয়ে চলতে চলতে হঠাৎই এক সকালে পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যর ফোন, ‘‘তুমি গোয়েন্দার চরিত্রে অভিনয় করবে?’’ স্ক্রিপ্ট শুনে ভাল লেগে গিয়েছিল রূপঙ্করের। তাই গিটার ছেড়ে এবার ক্যামেরার সামনে তিনি।
দেবালয় অবশ্য গোয়েন্দা গল্প না বলে ‘মণিকাঞ্চন’কে সাইকো থ্রিলার হিসেবেই ভাবতে চান। বললেন, ‘‘বাঙালিদের কাছে গোয়েন্দা মানেই রেট্রো লুক। সেই লুকটা রূপঙ্করদার আছে। ইন্ডাস্ট্রিতে এমনিতেই সব হিরোদের গোয়েন্দা করা হয়ে গেছে। তাই রূপঙ্করদাকে ভেবেছিলাম।’’ বছর কুড়ি আগেই থিয়েটারে হাত পাকিয়ে এসেছেন রূপঙ্কর। গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে কোনও রেফারেন্স কী সঙ্গে রেখেছিলেন?
‘‘আসলে আমি বরাবরই নাসিরুদ্দিন শাহের ভক্ত। গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে ওঁর অ্যাক্টিং স্টাইলটা মাথায় রেখেছি,’’ পাবলিক শো-এর প্রস্তুতি নিতে নিতে বলছিলেন রূপঙ্কর।
একটি বেসরকারি চ্যানেলের জন্য ছবিটি বানাচ্ছেন দেবালয় ভট্টাচার্য। তাঁর পরিচালনায় ‘মণিকাঞ্চন’ ছবিতে গোয়েন্দা যতীন সামন্তর স্বপ্ন ছিল শার্লক হোমস বা ফেলুদা হওয়ার। সে স্বপ্ন তাঁর পূর্ণ হয়নি। ‘‘আসলে এই যতীন সামন্ত অনেকটাই আমার মতো। আমিও ছোটবেলায় ভাবতাম এই হব, সেই হব। সেগুলো কিছুই হয়নি।
সে সব ভেবে এখন মাঝে মাঝেই বিরক্ত হই। এই চরিত্রটাও আমারই মতো ভাবে কাজ সেরে কখন বাড়ি যাবে,’’ বলছিলেন রূপঙ্কর।
তেলেভাজার বাহারি দোকানের প্ল্যানটা আপাতত বন্ধ। এবার তা হলে অভিনয়? ‘‘দেখুন একটা কথা এখানে বলতে চাই। অভিনয় করলাম মানে যে কোনও ছবিতে বা সিরিয়ালে মামা-কাকার রোল পেয়ে একটানা অভিনয় করে যাব এমনটা নয়,’’ পরিষ্কার জবাব রূপঙ্করের।
শেষমেশ গানই যে তাঁর প্রথম প্রেম সেটাই বুঝিয়ে দিলেন রূপঙ্কর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy