প্রীতি নয়, নয়নার চরিত্রে ফার্স্ট চয়েস ছিলেন করিনা!
২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘কাল হো না হো’। দেখতে দেখতে ১৪ বছর হয়ে গেল মুক্তি পেয়েছে সেই ছবি। কিন্তু, একাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং সুপার হিট এই ছবির অনেক তথ্যই হয়তো জানা নেই বেশির ভাগেরই। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই সিনেমা সংক্রান্ত নানা অজানা তথ্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ১১:২৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১১
নয়নার চরিত্রটি প্রথমে করিনা কপূরের করার কথা ছিল। বলিউডে গুঞ্জন, করিনা নাকি এই ছবিটা করতে বিপুল টাকা দাবি করেছিলেন। আর সে কারণেই বলটা চলে যায় প্রীতি জিন্টার কোর্টে।
০২১১
‘কাল হো না হো’র শুটিং হয়েছিল নিউ ইয়র্কে। কিন্তু লোকেশন হিসেবে পরিচালক নিখিল আডবাণী এবং প্রযোজক কর্ণ জোহরের প্রথম পছন্দ ছিল টরন্টো। টরন্টোর সুন্দর লোকেশনেই কথা ছিল ‘কাল হো না হো’র শুটিং হবে। কিন্তু, বিশেষ কিছু কারণের জন্য শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় প্রযোজককে।
০৩১১
কর্ণ জোহরের পছন্দের গান ছিল রয় ওর্বিনসনের ‘প্রিটি উইমেন’ । এতটাই পছন্দের যে গানটি রিক্রিয়েট করার জন্য কর্ণ রয় ওর্বিনসনের অনুমতিও নিয়েছিলেন। ওর্বিনসন অনুমতি দেওয়ার পরই ‘কাল হো না হো’ তে ব্যবহৃত হয় ‘প্রিটি উইমেন’।
০৪১১
২০০৩ সালে এই ছবি দিয়েই কামব্যাক করার কথা ছিল নিতু সিংহের। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। প্রীতির মায়ের চরিত্রে জয়া বচ্চনকেই বেছে নেন কাস্টিং ডিরেক্টরেরা।
০৫১১
ছবির শেষটা আগে অন্য রকম ছিল। কিন্তু, কর্ণের বাবা যশ জোহর ক্লাইম্যাক্স সিন বদলে এখনকার সিনটা রেখেছিলেন। প্রযোজক যশের প্রযোজিত শেষ ছবি এটি। যদিও এই ছবির শুটিং হওয়ার কিছু দিন পরেই মৃত্যু হয় যশের। বাবাকে ছবিটা না দেখাতে পারার দুঃখও রয়েছে কর্ণ জোহরের।
০৬১১
ছবিতে ক্যামেও চরিত্রে দেখা গিয়েছিল ভগ ম্যাগাজিনের সম্পাদক অনিতা শ্রফ আদজানিয়াকে। ছবিতে অনিতাকে দেখা গিয়েছিল নয়না অর্থাৎ প্রীতির বন্ধু গীতার চরিত্রে।
০৭১১
ছবিতে মূলত সব চরিত্রের ড্রেস ডিজাইন করেছেন মণীশ মালহোত্র। কেবল জিয়ার সমস্ত পোশাক এবং তার পুতুলগুলির ড্রেসও ডিজাইন করেছেন প্রীতি।
০৮১১
একাধিক পুরস্কার রয়েছে ‘কাল হো না হো’র ঝুলিতে। সে তালিকায় রয়েছে একাধিক ফিল্ম ফেয়ারও। কিন্তু এই ছবির নাম হওয়ার কথা ছিল ‘কভি অলবিদা কহে না’। আর সেই নাম বদলে ‘কাল হো না হো’ রাখেন কর্ণ জোহর।
০৯১১
সইফের চরিত্রের জন্য বিবেক ওবেরয় এবং অভিষেক বচ্চনকেও অফার করা হয়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সৈয়ফ আলি খানকেই ফাইনাল করা হয়।
১০১১
নয়নার বাবার চরিত্রে ছবিতে অভিনয় করেছেন ছবির চিত্রগ্রাহক অনিল মেহতা।
১১১১
ছবিতে একটি ক্যামেও চরিত্রে ফারহা খানকেও দেখা গিয়েছিল।