৩০ নভেম্বর ধুমধাম করে বিয়ে হয় জাদুকর পিসি সরকারের (জুনিয়র) মেয়ে মৌবনী সরকারের। শ্বশুরবাড়ি চন্দননগরে। মৌবনী অভিনেত্রী, কিন্তু স্বামী সৌম্য একেবারে অন্য পেশার মানুষ। রিসার্চ অ্যানালিস্ট। শ্বশুরবাড়িতে, নতুন পরিবেশে কেমন লাগছে মৌবনীর? জানালেন, সবটাই নিজের বলেই মনে হচ্ছে অভিনেত্রীর। শ্বশুরবাড়িতে প্রথম রান্না থেকে মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা, আনন্দবাজার ডট কম-কে জানালেন মৌবনী।
আরও পড়ুন:
বৌভাতের পরে সবে দিন দুই কেটেছে। নতুন পরিবেশ। কিন্তু মৌবনী জানান, বিয়েটা তাঁর জীবনের নতুন সূচনা। শুধু তা-ই নয়, বিয়েটা যেন ‘নতুন ভোর’ তাঁর জীবনে। স্বামী মানুষ হিসাবে অত্যন্ত ভদ্র, সেইসঙ্গে কম কথার মানুষ। কিন্তু যেটা বলেন, একেবারে ন্যায্য কথা বলেন। আর সেটাই মন কেড়েছে মৌবনীর। তাঁর কথায়, ‘‘সৌম্য ভীষণ যত্ন করছে আমার। পাশাপাশি এত সম্মান দেয়, সেটা আমার ভাল লাগে। সাধারণত ছেলেরা ‘ব্র্যাট’ হয়, আমার স্বামী তেমন নয়। তবে আমার খুব ভুল ধরে। বাবা-মায়ের পরে ও-ই এমন একটা মানুষ, যে আমার ভুল ধরিয়ে দেয়।’’
বিয়ের পরে জায়গা পরিবর্তন, নতুন মানুষের সঙ্গে সহাবস্থান। মানিয়ে নিতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হচ্ছে না তাঁর। বরং মৌবনী বলেন, ‘‘আমার এই বাড়িতে আসাটা ভাগ্যেই ছিল। বিয়ের পরে প্রথম শ্বশুরবাড়িতে রান্না করতে হয়। আমি যদিও ততটা পটু নই। শাশুড়িমা নিজে পায়েস রেঁধে বললেন, ‘মৌবনী তুমি এসে শুধু খুন্তি ধরে নেড়ে দাও, যেমন সিনেমায় করো।’ আমি ততটুকুই করলাম। এই গোটাটা ভিডিয়ো করলেন আমার শ্বশুরমশাই। এমন শ্বশুরবাড়ি আর কোথায় পাব?’’
বিয়ের পরে কাজে ফিরতে হবে, কিন্তু তার মধ্যেই চলছে মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা। এই মুহূর্তে স্বামীর হাতে ধরে চন্দননগরটা ঘুরে দেখছেন। সেখানে ফরাসি সংস্কৃতির যে প্রভাব সেটা দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। সে কারণে মধুচন্দ্রিমায় ফ্রান্সেই যাওয়ার ইচ্ছে। মৌবনী বলেন, ‘‘আমার মন সব সময়ে ‘প্যারিস-প্যারিস’ করে। সেখানেই যাওয়ার ইচ্ছে। তবে সারা বিশ্ব জুড়ে যে অস্থির পরিস্থিতি চলছে, কখন কোথায় যে কী হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। তবে শান্তি ফিরুক সর্বত্র, সেটাই চাইব।’’
যদিও অভিনেত্রী জানান, বিয়ের পরবর্তী সময় দারুণ ভাবে উপভোগ করছেন। ফুরফুরে লাগছে, সকালে উঠেই কখনও কবিতা লিখতে ইচ্ছে করছে, কখনও আবার ছবি আঁকতে। স্বামী সৌম্য পাশ থেকে ভালবাসায় আগলে রাখছেন ।