Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
Cyclone Yaas

তারকারা উদ্বিগ্ন

তারকারা চিন্তিত পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অংশে ঝড়ের অভিঘাত কী হবে, তা নিয়ে।

দেব এবং আবীর।

দেব এবং আবীর।

 ঈপ্সিতা বসু
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২১ ০৭:৩২
Share: Save:

আজও মন থেকে মুছে যায়নি আমপানের ভয়াবহ স্মৃতি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ধেয়ে এসেছে আর এক ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। যদিও এ বার ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের উপকূল থেকে ক্রমেই ওড়িশা উপকূলের দিকে গতি বাড়ানো, কলকাতায় পরিস্থিতি হয়তো গত বছরের মতো হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে। তবে তারকারা চিন্তিত পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অংশে ঝড়ের অভিঘাত কী হবে, তা নিয়ে। আবীর চট্টোপাধ্যায় যেমন বললেন, ‘‘শহরে বাস করি বলে অনেক সুযোগসুবিধে পেয়ে থাকি। ইয়াসকে নিয়ে অতটা আতঙ্কিত নই। কিন্তু ভয় পাচ্ছি সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষদের নিয়ে। তাঁরা যাতে নিরাপদে থাকেন, সেই প্রার্থনাই করি।’’ আর নিজের জন্য কী সতর্কতা নিচ্ছেন? ‘‘আগের বছরের স্মৃতি থেকে ঘরের সমস্ত জানালা বন্ধ রাখব। বৈদ্যুতিক যন্ত্রও নিষ্ক্রিয় করে রাখব। কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও শুকনো খাবার এনে রেখেছি। তবে এ বছর পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে ভাবে পূর্বপ্রস্তুতি নিয়েছেন, তাতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কম হবে বলেই মনে করছি,’’ বললেন আবীর। একই কথা মনে করছেন দেবও। তাঁর এলাকা ঘাটালের মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। অভিনেতা-সাংসদ বললেন,‘‘আগের বারের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার অনেক বেশি সতর্ক। পরিবারগুলো যেন অসহায় বোধ না করে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে ঘাটাল ও মেদিনীপুরের মানুষদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

আমপানের ভয়াবহ ধ্বংসলীলার স্মৃতি নিয়েই অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা সরকার বললেন, ‘‘গড়িয়ার ফ্ল্যাটে ছেলে সহজ ছাড়াও দুটো কুকুরের জন্য খাবার ও ওষুধপত্র সংগ্রহ করে রেখেছি। গত বছর চার-পাঁচদিন বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না, এ বারও সে রকম হলে যেন সামলাতে পারি।’’

আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর বাড়ির বারান্দা। ঝড় নিয়ে চিন্তিত বনি বললেন, ‘‘বারান্দার শেড আগের বার ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল। গতবার পাঁচ দিন কারেন্ট ছিল না। তাই এ বার বাড়িতে জেনারেটর এনে রেখেছি।’’ তবে নায়কের বেশি উদ্বেগ পাড়ার পোষ্যগুলোকে নিয়ে, যারা খাওয়াদাওয়া করে তাঁদের কাছেই। ওদের জন্য নীচের ফ্ল্যাটের দরজা খুলে দিয়েছেন নায়ক।

অ্যাপের সাহায্যে ঝড়ের গতিবিধির উপর নজর রাখছেন সায়নী ঘোষ। বাবা-মায়ের জরুরি ওষুধপত্র বা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করে রেখেছেন তিনিও। তাঁর কথায়,‘‘এই কঠিন পরিস্থিতিতে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানোটাই সবচেয়ে জরুরি। মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

dev Abir Chatterjee Cyclone Yaas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE