বিনয়
ইন্ডিপেন়়ডেন্ট ছবি করিয়েদের যেখানে প্রযোজক পাওয়াই মুশকিলের হয়ে যায়, সেখানে পাভেল খুলে ফেলেছেন নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা। তাঁর প্রথম ছবি ‘বাবার নাম গান্ধীজী’ যথেষ্ট আলোচিত হয়েছিল। দ্বিতীয় ছবি ‘রসগোল্লা’র কাজ শুরু করতে চলেছেন ডিসেম্বর মাসে। তার সঙ্গে শুরু করে ফেলেছেন নিজের প্রোডাকশন হাউস ‘পাভেলস’। যার প্রথম ছবির শ্যুটিং শুরু অক্টোবরে। অভিনয়ে বিনয় পাঠক।
একটা ছবি করেই নিজের প্রযোজনা সংস্থা! বিস্ময়টা বুঝতে পেরে পাভেল বললেন, ‘‘প্রযোজকের সমস্যা আমার কোনও দিনই হয়নি। ‘বাবার নাম গান্ধীজী’ করার পর থেকে অনেকেই আমার সঙ্গে ছবি করতে আগ্রহী হয়েছিলেন। তার পর তো ‘রসগোল্লা’র জন্য শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায়কেই পেয়ে গেলাম। আরও যাঁরা কাজ করতে চাইছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়াটা ঠিক হচ্ছিল না। আমার এক বন্ধুর পরামর্শেই প্রযোজনা সংস্থা খুললাম।’’
পাভেল
পাভেলের প্রথম প্রযোজনা ‘চেগু’। পরিচালক নবমিতা। এটা নবমিতার প্রথম ছবি। ছবির নামটা বেশ অন্য রকম বলতে পাভেলের মন্তব্য, ‘‘কেন এমন নাম, তার জন্য ছবিটা দেখতে হবে। আসলে চেগু একটা বাচ্চার নাম। ছবির নামের সঙ্গে চে গ্যেভারার যোগ রয়েছে।’’ বিনয় পাঠক ছাড়াও রয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী, চন্দন সেন, এনা সাহা আর ঈশান। ছবির গল্প, চিত্রনাট্য দুই-ই পাভেলের লেখা।
বাংলা ছবিতে প্রথম বার বিনয় পাঠককে দেখা যাবে। কিন্তু তাঁকে রাজি করালেন কী করে? কাজের সূত্রে বিনয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় পাভেলের। বিনয়েরও চিত্রনাট্য পছন্দ হয়ে যায়।
কিন্তু নিজের সৃষ্টি অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছেন? পাভেল প্রতিদিন লেখালেখি করেন। ‘‘নিয়ম করে কিছু লেখার অভ্যেস আছে। প্রচুর গল্প, চিত্রনাট্য লিখে ফেলেছি। একজন পরিচালক গোটা জীবনে ক’টা ছবি করতে পারেন? ২০-৩০টা বড়জোড়। তার চেয়ে বাকিগুলো অন্যদের পরিচালনা করতে দেওয়া যেতে পারে।’’ ক্রিয়েটিভ সত্তার সংঘাত হতে পারে তো! বিষয়টা মেনে নিয়েই পাভেল বললেন, ‘‘লেখক আর পরিচালকের ভিশন আলাদা হলে মুশকিল। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy